ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শুরু থেকেই সুইং আর শর্ট বলে চাপে রাখে নিউজিল্যান্ডের পেসাররা। ক্যারিবিয়ান ব্যাটাররা সেই চাপ সামলাতে পারেনি। তবে কম রান নিয়েও লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিল তাদের বোলাররা। কিন্তু ছোট লক্ষ্য হওয়ায় কিউইদের জয় পেতে খুব বেশি সমস্যা হয়নি।
শেষ ওয়ানডেতে চার উইকেটে জিতে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করেছে নিউজিল্যান্ড। হ্যামিল্টনে ক্যারিবিয়ানদের ইনিংস থেমে যায় মাত্র ১৬১ রানে, ৩৬.২ ওভারে। দলের কোনো ব্যাটারই ৪০ ছুঁতে পারেননি।
নিউজিল্যান্ডের বোলিং আক্রমণ সামলাতে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। শুধু ম্যাট হেনরিই নেন চার উইকেট। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের মাত্র ৯২ ইনিংসে তিনি ১৩ বার চার উইকেট পেলেন, সঙ্গে তিনবার পাঁচ উইকেটও আছে।
রান তাড়ায় নিউজিল্যান্ড শুরুতে ধাক্কা খেলেও মাঝের অংশে নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়। মার্ক চ্যাপম্যানের ফিফটিতে ম্যাচ শেষ করে তারা প্রায় ২০ ওভার হাতে রেখে। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে আগ্রাসীভাবে শুরু করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আকিম ওগিস প্রথম দিকেই দুটি ছক্কা মারেন হেনরিকে। প্রথম চার ওভারে দল করে ৩০ রান।
কিন্তু পরের ওভারেই ম্যাচের ছবি বদলে দেন হেনরি। তিন বলের ব্যবধানে ফিরিয়ে দেন ওগিস (১৭) এবং কার্টিকে (০)। ওপেনার জন ক্যাম্পবেলও ২৬ রান করে ফেরেন কাইল জেমিসনের বলে। মাঝে শেই হোপ (১৬) ও রাদারফোর্ড (১৯) কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও বড় কিছু করতে পারেননি। এরপর স্যান্টনারের দুই উইকেটে দল আরও চাপে পড়ে। ৯৫ রানে সাত উইকেট হারায় দলটি।
রস্টন চেইজ কিছুটা লড়াই করে ৩৮ রান করেন। নিচের দিকে খারি পিয়ের করেন দুই ছক্কায় অপরাজিত ২২, যা দলকে ১৬০ রান পার করায়। জবাবে নিউজিল্যান্ডও দ্রুত উইকেট হারায়। ডেভন কনওয়ে, রাচিন রবীন্দ্র, উইল ইয়াংয়ের পর টম লাথামও ফিরে গেলে ৭০ রানের মধ্যে চারটি উইকেট হারায় দলটি।
তবে চ্যাপম্যান ও মাইকেল ব্রেসওয়েলের ৭৫ রানের জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায় কিউইরা। চ্যাপম্যান ৬৩ বলে ৬৮ রান করে আউট হন। সান্টনারও আউট হন ৯ রান করে। তবে ব্রেসওয়েল ৩১ বলে অপরাজিত ৪০ রান করে দলকে জেতান। ম্যাচসেরা হন হেনরি, আর সিরিজসেরা জেমিসন। দুই দল এবার টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডের পর খেলবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। প্রথম টেস্ট শুরু হবে ২ ডিসেম্বর ক্রাইস্টচার্চে, পরেরটি ১০ ডিসেম্বর ওয়েলিংটনে।
এসএস/টিএ