বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ বলেছেন, যমুনা সামনে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে এখন গঙ্গার কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে জামায়াত। আশা করি ঠিক তেমনি তারা দ্রুত নির্বাচনের মাঠেও নামবে।
শনিবার (২২শে নভেম্বর) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে 'স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের অতন্দ্র প্রহরী' শীর্ষক এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম।
এসময় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রসঙ্গে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, এই রায় ইনশাআল্লাহ কার্যকর হবে। গণতন্ত্র হত্যাকারীদের কী পরিণতি হয়, তা যেন দেশের মানুষ এবং ভবিষ্যতে রাষ্ট্র পরিচালনাকারীরা দেখে শিক্ষা নিতে পারেন।
সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, ভবিষ্যতে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন, তাদের মাথায় রাখতে হবে যে- এই দেশে স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদের কোনো জায়গা নেই। যারা গণতন্ত্র হত্যা করবে, তাদের এই পরিণতি ভোগ করতে হবে।
আওয়ামী লীগের কড়া সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো গণতান্ত্রিক বা রাজনৈতিক দল ছিল না। তারা গণতন্ত্রের মুখোশ পরা একটি মাফিয়া ও ফ্যাসিস্ট শক্তি ছিল। সংসদে দাঁড়িয়ে এবং সংসদের বাইরে তারা সবসময় সংবিধান লঙ্ঘনের মহাযজ্ঞ চালিয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থান ও শহীদদের আত্মত্যাগের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, শত-সহস্র শহীদের রক্তদানের মধ্য দিয়ে যে প্রত্যাশা ব্যক্ত হয়েছে, তা হলো- একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এ দেশের মানুষ আর কোনো বৈষম্যমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা চায় না। তিনি সতর্ক করে বলেন, আমরা বা ভবিষ্যতে যারা ক্ষমতায় আসবে, তারা যদি জনগণের এই আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়, তবে দেশে আবারও ফ্যাসিবাদী রাজনীতির উৎপত্তি হতে পারে। তাই সবাইকে গণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকসহ দলের অন্য নেতৃবৃন্দ।
এমআর/টিকে