৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। এর ফলে রাজশাহী-ঢাকা, চাঁপাইনাববাগঞ্জ ও পাবনার মধ্যে চলাচল করা চারটি ট্রেন আটকা পড়েছে বিভিন্ন স্টেশনে। এসব লোকাল, কমিউটার ও আন্তঃনগর ট্রেনের তিন হাজারের বেশি যাত্রী আটকা পড়ে অলস সময় কাটাচ্ছেন বিভিন্ন স্টেশনে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন স্টেশন বাজারে ৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে ও পুলিশ কর্তৃক সাধারণ শিক্ষার্থীর ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে রেললাইন অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন রাবি শিক্ষার্থীরা। রাত সাড়ে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলছে বলে জানা গেছে।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে কথা হয় যাত্রী সফিকুল ইসলামের সঙ্গে। পদ্মা এক্সেপ্রেসের এই যাত্রী বলেন, বিকেল ৪টা থেকে রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনে উঠে বসে আছি। ট্রেন ছাড়ার কোনো খবর নেই। পরে জানতে পারি রাবি শিক্ষার্থীরা রেললাইনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। তাই ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর ফলে হাজারো যাত্রী দুর্ভোগে পড়েছে।
আরেক যাত্রী শ্যামলী ইসলাম বলেন, বিভিন্ন আন্দোলন ও কর্মসূচিগুলো আসলে আলোচনার মাধ্যমে শেষ করা দরকার। কিন্তু সেটি না হয়ে মানুষ সড়কে নেমে আন্দোলন করছে, প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এতে করে হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়ছে। অনেক মানুষ কষ্ট করে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেন ছাড়ার অপেক্ষায় বসে আছে। আমরা চাই দ্রুত একটা সমাধান হোক।
রাজশাহী রেলওয়ের একটি সূত্র জানায়, রাজশাহী-ঢাকার মধ্যে চলাচল করা আন্তঃনগর বনলতা এক্সেপ্রেস ট্রেনটি হরিয়ান স্টেশনে থেমে আছে। ট্রেনটি রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে আসতে পারছে না। এই ট্রেনের যাত্রী প্রায় এক হাজার। এছাড়াও রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে পদ্মা এক্সেপ্রেস ট্রেনটিও নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে পারেনি। ট্রেনটি রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে হাজারখানেক যাত্রী নিয়ে আটকে আছে।
এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা রহনপুর কমিউটার প্রায় ৬০০ যাত্রী নিয়ে শীতলাই স্টেশনে আটকে আছে। অপরদিকে, নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে পারেনি ঢালারচর এক্সেপ্রেস ট্রেন। ট্রেনটি রাজশাহী-পাবনা রুটে চলাচল করে। এই ট্রেনের প্রায় ৬০০ যাত্রী রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান করছে।
এ বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট আব্দুল আওয়াল বলেন, চারটি ট্রেন আটকা পড়েছে বিভিন্ন স্টেশনে। কোনো ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়নি। এসব লোকাল, কমিউটার ও আন্তঃনগর ট্রেনের ৩ হাজারের বেশি যাত্রী আটকা পড়ে আছে বিভিন্ন স্টেশনে।
আরপি/টিকে