নাটকের শুটিংয়ে অভিনয়ের কথা বলে গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি রিসোর্টে নিয়ে এক মডেলকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে কিছুদিন আগে। সেই অভিযোগে পরিচালক নাসিরউদ্দীন মাসুদকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
শনিবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরার বটতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর জেলা ডিবির পরিদর্শক হাসমত উল্লাহ।
তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই পরিচালক নাসিরউদ্দীন মাসুদ পলাতক ছিলেন।
মডেলের করা ধর্ষণ মামলায় আজ উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি মামলার প্রধান আসামি। যেহেতু এই মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে, আশা করছি এতে কারা কারা জড়িত ছিলেন তার রহস্য উন্মোচন করা হবে।’
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মডেল বলেন, ‘এই ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করলে আরো বেশি ভালো লাগত।
প্রতিনিয়ত জড়িতরা আমাকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিচ্ছে। আশা করি, ন্যায়বিচার পাব।’
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের একটি রিসোর্টে ধর্ষণের অভিযোগে শ্রীপুর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী মডেল। মামলায় মো. নাছির (৩৫) ও মো. বাবর (৩২) নামে দুজনের নাম উল্লেখ ও একজনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।
পরবর্তীতে অজ্ঞাতপরিচয় সেই ব্যক্তির পরিচয়ও নিশ্চিত করেন সেই মডেল; যার নাম আবুল হাসেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী ওই নারী মডেল হিসেবে কাজ করেন। তাকে জানানো হয়, নাছির (নাসিরউদ্দীন মাসুদ) নাটকের পরিচালক এবং বাবর তার সহযোগী। নাটকের শুটিংয়ের কথা বলে গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকার মিরপুর থেকে তাকে শ্রীপুরের একটি রিসোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত ২টার দিকে ভুক্তভোগীকে একটি কক্ষে আটকে রেখে নাছির, বাবর ও অজ্ঞাতপরিচয় একজন সংঘব্দ্ধ ধর্ষণ করেন।
পরদিন বিকেলে মারধর করে তাকে রিসোর্ট থেকে বের করে দেওয়া হয়।
আসামিরা তার আইফোন কেড়ে নেন, যার মূল্য ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
টিকে/