জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী পাপন সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁর সহকর্মী ও প্রিয় গায়ক জুবিনের জীবনের এক অন্তর্দৃষ্টিকথা শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, “আমার মতো জুবিনও তাঁর মাকে হারিয়েছেন ১৯৯৮ সালের আশপাশে। আমি এই খবর শোনার পর জুবিনের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর স্টুডিওতে যাই। সেই সময় জুবিন গান তৈরি করছিলেন। একদিন আগেই মা মা* রা গিয়েছে, তাঁর আর পরের দিনই গান তৈরি করছে জুবিন। এটাই সঙ্গীতকারের জীবন। দ্য শো মাস্ট গো অন।”
পাপনের কথায় উঠে আসে একজন শিল্পীর জীবনের কঠিন বাস্তবতা। ব্যক্তিগত দুঃখ-বেদনা থাকা সত্ত্বেও সঙ্গীতের প্রতি তাঁদের প্রতিশ্রুতি কখনো কমে না। জুবিনের এই অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে, একজন সত্যিকারের শিল্পীর জীবনে সৃষ্টিশীলতা এবং পেশাদারিত্ব কতটা শক্তিশালী।
সঙ্গীতের দুনিয়ায় এমন পরিস্থিতি খুবই সাধারণ—ব্যক্তিগত ক্ষতি থাকা সত্ত্বেও শিল্পীরা তাদের কাজ চালিয়ে যান। জুবিনের এই দৃঢ় মনোভাব ও পেশাদারিত্ব শুধু সহকর্মীদেরই নয়, ভক্তদের মধ্যেও গভীর প্রভাব ফেলে।
পাপনের স্মৃতিচারণে বোঝা যায়, জুবিন শুধু সঙ্গীতকার নন, বরং একজন মানবিক মানুষও ছিলেন যিনি বেদনার মাঝেও শিল্পকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। এই গল্প সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আইকে/টিএ