টলিপাড়ায় ফের একবার বিতর্কের ঝড় বয়ে গেছে। ফেসবুক লাইভে জিতু কমলের গলায় ধরা পড়ল গভীর হতাশার সুর, যা দর্শককে উদ্বিগ্ন করেছে এবং তার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা বাড়িয়েছে।
শুক্রবার শুটিং ফ্লোরে ফিরে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই শ্যুট শুরু হয়েছে। সহ-অভিনেতারাও নায়ককে ফিরে পেয়ে স্বস্তি পেয়েছেন। তবে রাতের লাইভে জিতু এমন কিছু কথা বলেন, যা দর্শকের কপালে ভাঁজ ফেলেছে। লাইভে তিনি বলেন, “ছেড়ে দিয়েছিলাম বীতশ্রদ্ধ হয়ে… দর্শক আর টেকনিশিয়ানদের জন্যই ফিরলাম। একটা ভাঙা কাঁচকে যতই জোড়া লাগানোর চেষ্টা করি, কতটা জোড়া লাগবে জানি না… আমি কোনো কনট্রোভার্সিতে যেতে চাই না।” পরে যোগ করেন, “আজ থেকে কাজে যোগ দিলাম। কিন্তু আমাদের সিন কীভাবে হবে, সেটা এখনো ধোঁয়াশা।”
অন্যদিকে বিতর্কের দ্বিতীয় অধ্যায় ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। খবর পাওয়া গেছে, শনিবার মহিলা কমিশন ও আর্টিস্ট ফোরামে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সহ-অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়। প্রথমে মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন, পরে দু’জায়গায়ই লিখিত অভিযোগ জমা দেন। দিতিপ্রিয়ার দাবি, জিতুর ভক্তদের ট্রোলিং, কটূক্তি ও ক্রমাগত মানসিক চাপে তিনি এতটাই ভেঙে পড়েছেন যে কাজে মন বসাতে পারছেন না। এমনকি এই অবস্থায় তিনি সিরিয়াল ছাড়ার কথাও ভাবছেন।
এই পরিস্থিতি তুলে দিয়েছে ধারাবাহিকের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন। ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর টিআরপি সাফল্য কি বজায় থাকবে, তা এখন অনিশ্চিত। নির্মাতাদের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ, ধারাবাহিক চালিয়ে যেতে পারবে কি না, নাকি দুই প্রাপ্তবয়স্ক অভিনেতার ইগো জনপ্রিয় শোয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
শুক্রবার জিতুর ফিরে আসার দিনে ভক্তরা কেক ও ফুল নিয়ে সেটে হাজির হলেও, তিনি উদযাপন বাতিল করেন। জিতু স্পষ্ট করে বলেন, তিনি শুধু চান শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করতে। সব মিলিয়ে, জিতু–দিতিপ্রিয়ার দ্বন্দ্বে ধারাবাহিকের ভাগ্যে এখন বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন, যা দর্শক ও মিডিয়ার নজর কেড়েছে।
আইকে/টিএ