ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামালপুর-৩ (মেলান্দহ–মাদারগঞ্জ) আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। সদ্য বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে ইসলামী আন্দোলনে যোগদানকারী ইঞ্জিনিয়ার দৌলতুজ্জামান আনসারীর হাতে অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয়েছে হাতপাখা প্রতীক।
রোববার (২৩ নভেম্বর ) ঢাকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউলের হাত ধরে আনসারীর হাতে হাতপাখা তুলে দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেলান্দহ উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান, পূর্বঘোষিত প্রার্থী মুফতি জাহিদুল ইসলামসহ স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতারা।
এর আগে ইঞ্জিনিয়ার দৌলতুজ্জামান আনসারী (১৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি পদ থেকে লিখিতভাবে পদত্যাগ করেন। পরে বুধবার তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দেন।
এদিকে, মেলান্দহ মাদারগঞ্জ এলাকায় এতোদিন হাতপাখার পক্ষে ব্যাপক গণসংযোগ, পথসভা ও সাংগঠনিক তৎপরতা চালিয়ে আসছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও পূর্বঘোষিত এমপি প্রার্থী মুফতি জাহিদুল ইসলাম। তবে মাঠ পর্যায়ের জরিপ, তৃণমূলের মতামত এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ের মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রার্থী পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
জানতে চাইলে ইসলামী আন্দোলন মেলান্দহ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান বলেন,
মাঠের বাস্তব চিত্র, জরিপ রিপোর্ট ও সাংগঠনিক প্রয়োজন বিবেচনায় কেন্দ্র নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে হাতপাখার প্রতীক। ইসলামী ঐক্যজোটের এই আসনে তিনিই (আনসারী) প্রার্থী হবেন বলে আমরা মনে করছি।
অপরদিকে পূর্বের প্রার্থী মুফতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, দলের সিদ্ধান্তই সর্বোচ্চ। আমি শুরু থেকে হাতপাখার পক্ষে মাঠে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো। দলের জন্যই কাজ করি।
প্রসঙ্গত, ইঞ্জিনিয়ার দৌলতুজ্জামান আনসারীর বাড়ি জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের ছবিলাপুর এলাকায়। তিনি একসময় জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছিলেন। পরে বিএনপিতে যোগ দিয়ে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও ময়মনসিংহ বিভাগের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যও ছিলেন তিনি। জামালপুর-৩ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।
ইএ/টিএ