আলিয়া ভাটের একটি ছোট্ট বার্তায় যেন ফুটে উঠল তাঁর নিজের জীবনদর্শন যা-ই করো, মন প্রাণ দিয়ে করো। একজন তারকা হিসেবে নয়, বরং এক নারী, এক কর্মী, এক মা এই তিন ভূমিকাতেই আলিয়া যেন নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা ঢেলে দিলেন কয়েকটি বাক্যে। জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্তে আবেগ থাকলে, নিষ্ঠা থাকলে ফল আসবেই এই বিশ্বাসই তিনি ভাগ করে নিলেন ভক্তদের সঙ্গে।
বলিউডে অভিষেকের পর থেকে আলিয়ার পথচলাকে ঘিরে প্রশংসা যেমন ছিল, তেমনই ছিল নানা চাপও। চরিত্র বেছে নেওয়া, নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করা এসবের মাঝেই তিনি শিখেছেন একটাই কথা, নিজের কাজে মন প্রাণ ঢেলে দিলে সেই কাজ আপনাকে ফিরিয়ে দেয় নিজের আলো। অভিনেত্রী হিসেবে তাঁর সাফল্যের পেছনেও ছিল এই একই নিষ্ঠা।
কিন্তু আলিয়া এবার আরও গভীর একটি জায়গায় হাত রাখলেন মাতৃত্ব। তিনি জানালেন, মা হওয়াটাও এক বিশাল দায়িত্ব, যার প্রতিটি মুহূর্তে প্রয়োজন ভালোবাসা এবং মানসিক শক্তি। কাজের জগতে তুমুল ব্যস্ততার মধ্যেও কীভাবে তিনি নিজেকে সামলে নেন, তারই এক ইঙ্গিত মিলল তাঁর কথায়। যেন বলতে চাইলেন মায়ের ভূমিকাও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ, ততটাই সম্মানের, যতটা একটি পেশাদার পরিচয়।
তাঁর এই বার্তায় আড়ম্বর নেই, নেই কোনও নাটকীয়তা কিন্তু আছে হৃদয়ের শক্ত ভাষা। জীবনে যে পথই ধরা হোক, আবেগের পূর্ণতা ছাড়া সেই পথের সৌন্দর্য ধরা দেয় না এটাই মনে করিয়ে দিলেন আলিয়া ভাট। তাঁর এই কথাগুলো তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে তরুণী নারী সমাজের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছে। কারণ এখানে একজন তারকা নয়, কথা বলছেন এক মানুষ, যিনি জীবনকে দেখেন মন দিয়ে, সম্পর্ককে দেখেন ভালোবাসা দিয়ে।
আরপি/টিকে