জনপ্রিয় সুপারফুডগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে আমন্ড। এর বৈশিষ্ট্যের কারণে একে শুকনা ফলের রাজাও বলা হয়। ছোটবেলা থেকেই আমরা বাদাম খাওয়ার অনেক উপকারিতা জেনে আসছি। আর আগামী প্রজন্মের সঙ্গেও আমরা তাই করি।
আসলে, বাদামে প্রোটিন, ফাইবার, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডের মতো অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা আমাদের শরীরকে সম্পূর্ণ পুষ্টি জোগায়। বাদাম সামান্য গরম প্রকৃতির কারণে এটি সব সময় ভিজিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে শীতের মৌসুমে বাদাম ভিজিয়ে খাওয়া উচিত, নাকি অন্য কোনো উপায়ে খাওয়া উচিত, তা নিয়ে সাধারণত মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি থাকে। তাহলে চলুন, আজ জেনে নিই শীতে বাদাম খাওয়ার সঠিক উপায় কোনটি।
শীতে বাদাম খাওয়ার সঠিক উপায়
যেহেতু আমরা জানি যে বাদাম কিছুটা গরম প্রকৃতির, তাই এগুলো ভিজিয়ে খাওয়া ঠিক বলে মনে করা হয়। যে ঋতুই যাই হোক না কেন, যত ঠাণ্ডাই হোক না কেন, বাদাম ভিজিয়ে খাওয়া উচিত। কিছু মানুষ শীতকালে গরম ভাজা বাদামও চিবিয়ে খেয়ে থাকেন। এটি মোটেই উচিত নয়।
ভাজা বাদাম ঠিক ওষুধের মতো কাজ করে। কারো যদি সর্দি বা কাশির মতো কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে একটি প্যানে ভুনা কুসুম গরম বাদাম খেলে খুব উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু আপনি যদি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বাদাম অন্তর্ভুক্ত করেন, তাহলে শীতকালেও এগুলো ভিজিয়ে রাখার পরই সেবন করা উচিত।
কখনো কখনো জিহ্বার স্বাদ বাড়ানোর জন্য ঘিতে ভাজা এবং লবণ ও মরিচ দিয়ে সিজন করে খেতে পারেন। তবে প্রতিদিন এটি করা এড়িয়ে চলুন।
শীতে বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
ঋতু যাই হোক না কেন, বাদাম খাওয়ার উপকারিতা কমে না। আপনি যদি শীতকালে প্রতিদিন এক মুঠো ভেজানো বাদাম খান, তবে তা আপনার শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে মৌসুমি রোগের ঝুঁকিও কমায়। সেই সঙ্গে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে, ওজন ব্যবস্থাপনা, হার্টের স্বাস্থ্য, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য এবং সার্বিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতেও এটি খুবই উপকারী।
এমকে/এসএন