বাস্তবের সম্পর্ক নিয়ে মমতা শঙ্কর স্পষ্ট মতামত প্রকাশ করেছেন। তাঁর পর্যবেক্ষণ, আজকের যুগে সম্পর্ক অনেকটাই দ্রুত খরচ হয়ে যাওয়া এক জিনিসে পরিণত হয়েছে। সহিষ্ণুতা কমে যাওয়ায় মানুষ ভাঙনের পর দুঃখ না করে, বরং প্রকাশ্যে অপমান, অভিযোগ কিংবা ট্রোলিংয়ের পথ বেছে নিতে পিছপা হচ্ছে না। তাঁর চোখে, এই পরিবর্তন সমাজের ক্রমবর্ধমান অস্থিরতারই প্রতিফলন।
মমতার মতে, একসময় মিলন, দূরত্ব ঘোচানো, ধীরে ধীরে কাছে আসার অনুভূতিই সম্পর্ককে দিত নতুন মাত্রা। এখন অনেক কিছুই আগেভাগে ঘটে যাওয়ায়, বিয়ের পর সম্পর্ককে নতুন করে আবিষ্কার করার মতো কিছু আর বাকি থাকে না।
তাঁর নিজের ভাষায়- “এখন সবকিছু আগেই থেকেই হয়ে যায়, তাই বিয়ের পরের জন্য আর কিছু বাকি থাকে না। বিয়ের পরে দুটো আত্মার যে মিল হয় আর দুটো শরীর যেভাবে কাছাকাছি আসে, সেটা অনুভব করাটাই একটা আলাদাই অনুভূতি!”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিষয়টা কেবল শা* রী^ রিক ঘনিষ্ঠতা নয়- বরং সেই ঘনি* ষ্ঠতার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা আবেগ, সময়, বোঝাপড়া। বর্তমানে সেই আবেগই দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে, আর তার ফলেই সম্পর্কগুলো এমন তাড়াতাড়ি ভেঙে পড়ছে।
তাঁর তীব্র মন্তব্য- “কাগজের মতো দলা পাকিয়ে ফেলে দিচ্ছে সবাই সম্পর্কটাকে!”
তবুও তিনি সম্পর্ক নিয়ে নেতিবাচকতা ছড়াতে চান না। বরং মনে করেন, অতীতের কঠিন অভিজ্ঞতাই ভবিষ্যতের সম্পর্ককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাঁর বিশ্বাস, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা মানুষকে ভাঙে না- বরং আরও দৃঢ় করে তোলে।
কেএন/টিএ