হাজারটা ভালো মন্তব্যের ভিড়ে খারাপগুলোকে কেন গুরুত্ব দেব?: রুক্মিণী মৈত্র

ওপার বাংলার অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র। ইদানীং কলকাতার চেয়ে মুম্বাই তথা আরব সাগরের তীরেই যেন দেখা যাচ্ছে। ভক্তরা বলছেন, প্রিয় তারকাকে শহরে আগের মতো আর দেখা যাচ্ছে না। তবে সব জল্পনা উড়িয়ে আসন্ন সিনেমা ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’-এর প্রচারণায় এখন কলকাতাতেই ব্যস্ত সময় পার করছেন রুক্মিণী।

বাবা-মেয়ের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে নির্মিত এই সিনেমার প্রচারণায় এসে বারবার স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ছেন অভিনেত্রী। ২০১৭ সালে বাবাকে হারিয়েছেন তিনি। সিনেমার গল্প যেন তাকে বারবার ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বাবার স্মৃতিতে।



মুম্বাই যাতায়াত নিয়ে চলা ফিসফাস প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রুক্মিণী বলেন, ‘সবাই এখন আমার মুম্বাই যাতায়াত নিয়ে কথা বলছে। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই মায়ানগরীর সঙ্গে আমার গভীর সংযোগ। বাবা বলতেন, পরীক্ষায় ভালো ফল করলে মুম্বাই নিয়ে গিয়ে মনের মতো জিনিস কিনে দেবেন।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের উপস্থিতি ও সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব একটা সক্রিয় নই, কাজের প্রয়োজনে যতটুকু দরকার ততটুকুই থাকি। এরপরও আমাকে নিয়ে কেন এত আলোচনা হয়, তা আমার জানা নেই।’

বাবার মৃত্যুর পর মা মধুমিতা মৈত্রই ছিলেন রুক্মিণীর জগত। মা তাকে এবং ভাই রাহুলকে আগলে রেখেছেন বন্ধুর মতো। তবে নতুন সিনেমার গল্পটি রুক্মিণীকে ভাবিয়ে তুলেছে মায়ের একাকীত্ব নিয়ে। 

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক সময় ভুলে যাই যে, বাবা-মা হওয়ার আগে তারাও মানুষ। তাদেরও নিজস্ব চাওয়া-পাওয়া থাকে। সব কথা কি আর সন্তানদের সঙ্গে বলা যায়? তাদেরও সঙ্গীর প্রয়োজন হতে পারে। পরিচালক অর্ণব সিনেমায় এই বিষয়টিই তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।’

তার কথায়, ‘মাঝে মাঝে ভাবি, আমার তো নিজস্ব জগত আছে, কাজ আছে, বন্ধুরা আছে কিন্তু মায়ের হয়তো একা লাগে। সব কথা কি তিনি আমার সঙ্গে ভাগ করতে পারেন?’

বছরের শুরুটা হয়েছিল ‘বিনোদিনী: একটি নটীর উপাখ্যান’ দিয়ে, আর শেষ হচ্ছে ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ দিয়ে। ক্যারিয়ারের এই বাঁক বদল নিয়ে বেশ আশাবাদী রুক্মিণী। নেতিবাচক মন্তব্যকে পাত্তা দিতে নারাজ অভিনেত্রী। সমালোচকদের উদ্দেশ্যে অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘হাজারটা ভালো মন্তব্যের ভিড়ে খারাপগুলোকে কেন গুরুত্ব দেব? আমি ইতিবাচক দিকটাই দেখতে চাই। মনে রাখবেন, আমি মেয়ে হতে পারি, কিন্তু বোকা মেয়ে নই।’


আরপি/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
হাসিনা-কামালের সাজা বাড়াতে আপিল করবে প্রসিকিউশন Nov 27, 2025
img

রামপুরায় মানবতাবিরোধী অপরাধ

ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিলেন সিআইডির আলোকচিত্র বিশেষজ্ঞ Nov 27, 2025
img
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে ডিএমপির ১৬৭৭ মামলা Nov 27, 2025
img
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা Nov 27, 2025
img
নির্বাচনী জোটের আলোচনা প্রাথমিক পর্যায়ে : রাশেদ খান Nov 27, 2025
img
হাসিনার লকারে পাওয়া একটি ছোট ‘পাটের ব্যাগ’ ঘিরে নতুন রহস্য Nov 27, 2025
img
যারা বিএনপি করে না, তাদেরও আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই : খন্দকার নাসিরুল Nov 27, 2025
img
সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা থাকবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত: ইসি সচিব Nov 27, 2025
img
খালেদা জিয়ার খাবার ও ওষুধে বিষ মেশানো হয়েছিল : রিজভী Nov 27, 2025
img
দুটি আত্মার মিলনে জীবনের নতুন স্বাদ: মমতা শঙ্কর Nov 27, 2025
img
এই মুহূর্তে গম্ভীরকে বদলানোর কথা ভাবছেন না টিম ম্যানেজমেন্ট Nov 27, 2025
img
মধ্যরাতে ভূমিকম্পে কাঁপল সিলেট Nov 27, 2025
img
বিশ্বকাপের আগে কী বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন লিটন দাস? Nov 27, 2025
img
আপ বাংলাদেশকে জোটে চায় না এনসিপি, পিছিয়ে গেলো আলোচনা Nov 27, 2025
img
ইঞ্জিন বিকল, সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ Nov 27, 2025
img
এবার স্থগিত হলো পাকিস্তানি ব্যান্ড জালের কনসার্ট Nov 27, 2025
img
ভারতীয় অ্যাম্বাসিতে পাসপোর্ট জমা না দিয়ে আমেরিকা চলে যান তানজিন তিশা Nov 27, 2025
img
সৎ ছেলে নাগাকে নিয়ে মুখ খুললেন অমলা Nov 27, 2025
img
অনিরাপদ বিদেশি প্রাণি সম্পদ আমদানির পক্ষে নয় সরকার : ফরিদা আখতার Nov 27, 2025
img
প্রথমবারের মতো মোশাররফ করিম স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান Nov 27, 2025