২৫২ কোটির মাদক মামলায় তোলপাড় বলিউড! সম্প্রতি মুম্বাই পুলিশের অ্যান্টি নারকোটিক্স বিভাগের তরফে সমন পাঠিয়ে বলিউডের ‘সেলেব ইনফ্লুয়েন্সার’কে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ হয়েছিল।
যদিও হাজিরা দেওয়ার আগে দিন কয়েক সময় চেয়ে নেন ওরি (Orry), তবে বুধবার শেষমেশ ঘাটকোপারে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের দপ্তরে হাজিরা দেন তিনি। তবে ‘সেলেব ইনফ্লুয়েন্সার’কে সাড়ে সাত ঘণ্টা জেরা করেও অসন্তুষ্ট মুম্বাই পুলিশ। পালটা ওরির বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন তদন্তকারীরা।
বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, বুধবার বেলা দেড়টা নাগাদ মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের অ্যান্টি নারকোটিক্স বিভাগে পৌঁছন ওরি। এরপর টানা সাড়ে সাত ঘণ্টা তদন্তকারীদের ম্যারাথন জেরার মুখে পড়়তে হয় তাঁকে। শেষমেশ রাত ৯টা নাগাদ দপ্তর থেকে বেরতে দেখা যায় তাঁকে।
তবে এদিন সাংবাদিকদের দেখে এড়িয়ে যান ওরি। এদিকে সংশ্লিষ্ট মামলায় মঙ্গলবারই শক্তি কাপুরপুত্র তথা শ্রদ্ধার ভাই সিদ্ধান্ত কাপুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে দুই বলিউড তারকার বয়ানে অখুশি তদন্তকারীরা। মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, সাড়ে সাত ঘণ্টা জেরা করা হলেও পরিষ্কার করে কোনও উত্তর দেননি ওরি। জেরার মুখে বারবার একটাই কথা বলেছেন যে, ২৫২ কোটির মাদক মামলায় অভিযুক্ত সালিম সোহেল শেখকে তিনি চেনেন না। এমনকী কোনওদিন কথাও হয়নি ওই ব্যক্তির সঙ্গে।
প্রসঙ্গত, গত ২০২৪ সালের মার্চ মাসে তদন্তকারীরা সাংলি থেকে মেফিড্রোন বা এমডি নামে পরিচিত ১২৫.১৪ কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত করেছিল। যার বাজারমূল্য কমপক্ষে ২৫২ কোটি টাকা। এই ঘটনায় গত অক্টোবর মাসে মুম্বাইয়ের ঘাটকোপার থেকে মহম্মদ সেলিম, মহম্মদ সুহেল শেখ নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জেরার মুখে ধৃতেরা জানায়, মায়ানগরীর বিভিন্ন প্রান্তের রেভ পার্টিতে ওই মাদক সরবরাহ করত তারা। যে পার্টিগুলিতে নাকি যাতায়াত ছিল বহু তাবড় তারকার। তালিকায় নোরা ফাতেহি, শ্রদ্ধা কাপুর, সিদ্ধান্ত কাপুর, পরিচালক আব্বাস মাস্তান, ব়্যাপার লোকা, ওরি, এমনকী এনসিপি নেতা জিশান সিদ্দিকীর মতো তাবড় ব্যক্তিত্বদের নামও রয়েছে। এদিকে ধৃত মহম্মদ সুহেশ শেখ মাদক কারবারির কিংপিন সেলিম ডোলা ঘনিষ্ঠ বলেই খবর। সেলিম ডোলা আবার দাউদ ইব্রাহিম গোষ্ঠীর। আর সেসমস্ত ‘বিতর্কিত’ পার্টিতে যাওয়ার জন্যই এবার পুলিশের ব়্যাডারে ওরি এবং সিদ্ধান্ত কাপুর।
কেএন/টিকে