যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত সংবাদভিত্তিক সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের ‘১০০ ফটোস অব দ্য ইয়ার’ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশি ফটোগ্রাফার আমির হামজার তোলা একটি ছবি। দিদারুল ইসলামের জানাজার মুহূর্ত ধারণ করা এই ছবিটি আবেগের গভীরতা ও বৈশ্বিক প্রভাবের কারণে নির্বাচিত হয়েছে।
এই অর্জনে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, ‘এটি শুধু আমির হামজার অসাধারণ শিল্পদৃষ্টির স্বীকৃতি নয়, বাংলাদেশের জন্যও গর্বের মুহূর্ত। আমাদের দেশ ও প্রবাসীদের গল্প আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মর্যাদার সঙ্গে প্রতিফলিত হচ্ছে।’
উপদেষ্টা আরো বলেন, “বাংলাদেশি আলোকচিত্রীরা বহুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্মানের সঙ্গে পরিচিত। আমির হামজার আগে কেএম আসাদ, তসলিমা আক্তার ও মুনিরুজ্জামান—তাদের কাজও টাইমের ‘১০০ ফটোস অব দ্য ইয়ার’-এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আরও অনেক বাংলাদেশি ফটোগ্রাফার অসাধারণ ভিজ্যুয়াল স্টোরিটেলিংয়ের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন এবং দেশের নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছেন।”
বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে ফটোগ্রাফি অন্যতম প্রাণবন্ত ও প্রভাবশালী শিল্পমাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত—এ কথা উল্লেখ করে ফারুকী জানান, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে প্রথমবারের মতো আলাদা একটি বিভাগ হিসেবে ‘ফটোগ্রাফি’ চালু করা হবে।
তিনি বলেন, ‘এই উদ্যোগ আমাদের সৃজনশীল প্রতিভা লালন, শিল্পচর্চায় নতুনত্ব আনা এবং ফটোগ্রাফিকে তার প্রাপ্য প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদা দেওয়ার অঙ্গীকারের প্রতিফলন।’
উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশি ফটোগ্রাফির এই উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত উদযাপন করি। শিল্পের সমস্ত শাখাকে এগিয়ে নিতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রুতি আবারও ব্যক্ত করছি। আমির হামজাকে অভিনন্দন। আশা করি, বাংলাদেশের আলোকচিত্রীরা আগামী দিনে আরও উজ্জ্বলভাবে বিশ্বমঞ্চে জায়গা করে নেবে।’
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আমির হামজা। তিনি ২০১৪ সালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (ইউএসটিসি) থেকে ফার্মেসিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পড়াশোনা চলাকালীন, হামজার আলোকচিত্রশিল্পের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়, ২০১২ সালে অপেশাদার আলোকচিত্রশিল্প শুরু করেন। তিনি বর্তমানে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস -এ কর্মরত।
হামজার ছবি দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রথম পৃষ্ঠায় একাধিকবার প্রকাশিত হয়েছে, সেই সঙ্গে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালেও।
ইএ/টিকে