দেশে এখন ধর্মের নামে নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে বলে মন্তব্য করেছেন কবি, লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বাউল আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফরহাদ মজহার বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতা থেকে দূর করা গেলেও তাকে চিরতরে উৎখাত করা যায়নি, এখন চলছে ধর্মীয় ফ্যাসিজম।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে যেভাবে জনগণ শাস্তি দিয়ে বিতাড়িত করেছে, সেভাবে ধর্মীয় ফ্যাসিস্টদের প্রতিহত করা হবে।’
বাউল সংস্কৃতি ও এর গুরুত্ব তুলে ধরে এ রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, জনগণকে বোঝানোর জন্য নাটক, পালাগান করে থাকেন বাউলরা, যা আমাদের দেশে হাজার বছর ধরে চলছে।
তিনি বাউল আবুল সরকারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘বাউল আবুল সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কাজটি ঠিক হয়নি। মামলার পরও একটি গোষ্ঠী রাস্তায় নেমেছে।’
নামোল্লেখ না করে একটি গোষ্ঠীকে উদ্দেশ্য করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘৫ আগস্টের আগে আপনারা কোথায় ছিলেন? শেখ হাসিনার কোলে? আপনারাই তো তাকে কওমি জননী উপাধি দিয়েছেন।’
তিনি ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতি না করার জন্য সতর্ক করে বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইসলামের কার্ড বেচে ভোট নেবেন। তাহলে এটা ভুল। এই কার্ড খেলবেন না।’
তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘হাসিনার সঙ্গে হাত মিলিয়ে মাদ্রাসার ছেলেদের ওপর গুলি চালিয়েছেন, তখন চুপ ছিলেন।’
ফরহাদ মজহার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘ইমান থাকলে এক তুচ্ছ আবুল সরকার আপনাদের ইমান নিয়ে গেল? ইমান এত দুর্বল কেন?’
নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি বলেন, ‘আমাকে মেরে যদি ইসলাম কায়েম হয় তাহলে আমি প্রস্তুত। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল থেকে এ বিষয়ে প্রশ্ন আসছে।’
পরিশেষে বাউল আবুল সরকারকে মুক্তির পাশাপাশি যারা দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান ফরহাদ মজহার।
ইএ/টিকে