কানাডায় কপিল শর্মার ক্যাফেতে হামলার পর পালিয়ে ভারতে এসে গা ঢাকা দেওয়া গোল্ডি গ্যাংয়ের সদস্য মান সিং শেখনের গ্রেপ্তার নিয়ে উত্তর ভারতজুড়ে আবারও চাঞ্চল্য। চলতি বছরের জুলাইয়ে কানাডার সেই ক্যাফেতে প্রথম হামলার পর আরও দু’বার গুলি চলে যদিও কেউ আহত হননি। তবু আতঙ্ক ছিল তুঙ্গে। হামলার কিছুদিন আগে থেকে সোশাল মিডিয়ায় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে শেখনের ছবি ও ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছিল, যেখানে তিনি হামলার দায়ও স্বীকার করেছিলেন। সেই পোস্টই শেষ পর্যন্ত তাঁর vesমানে দাঁড়ায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শেখন লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের সহযোগী গোল্ডি ব্রার দলের সক্রিয় সদস্য। হামলার পর কানাডা থেকে পালিয়ে দিল্লিতে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর জানা যায়, কপিলের ক্যাফেতে একাধিক দফায় আক্রমণের জন্য অস্ত্র জোগানোর পরিকল্পনাও করছিলেন তিনি। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র।
আরও বিস্ময়কর তথ্য মিলেছে পুলিশের জেরা থেকে। শেখন নাকি শুধু হামলার দায়িত্বই নেননি, প্রকাশ্যে লিখেছিলেন যে সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁদের কোনও শত্রুতা নেই, কিন্তু বলিউডের যেসব তারকা তাঁদের ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলবেন, তাঁদের প্রতি দয়া দেখানোর প্রশ্নই ওঠে না। এই বক্তব্যই তদন্তকে আরও কঠিন করে তুলেছে। এখন পুলিশ খতিয়ে দেখছে—এই দলের উদ্দেশ্য কী ছিল, কত জায়গায় অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছিল, এবং সামনে আরও কোনও বড় হামলার পরিকল্পনা ছিল কি না।
কপিল শর্মা নিজেও আগে জানিয়েছিলেন, একের পর এক গুলিবর্ষণের ঘটনায় তিনি এবং তাঁর টিম ভীষণভাবে আতঙ্কিত। সেই আতঙ্কের উৎস এখন পুলিশের জালে। তবু তদন্তকারীদের মতে, শেখনকে গ্রেপ্তার করা গেলেও পুরো গ্যাংকে ধরার জন্য আরও সময় লাগবে।
আরপি/টিকে