অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ধর্মের অপব্যাখ্যা করে বিশৃঙ্খলা তৈরির সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না। ধর্মের বিষয়ে শুধু প্রকৃত আলেম-ওলামাদের ব্যাখ্যাই গ্রহণযোগ্য। কোনো অপব্যাখ্যাকে গ্রহণ করা হবে না। আমরা এমন কোনো কাজ করবো না যাতে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এমন কোনো কাজ করবো না যাতে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। আমরা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবো, সচেতনভাবে পা ফেলবো। নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হয় এমন উত্তেজনা তৈরি করা থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান তিনি।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে আন্তর্জাতিক কুরআন তিলাওয়াত সংস্থা-ইকরা আয়োজিত ২৪তম আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইকরার সভাপতি ক্বারী আহমেদ বিন ইউসুফ আল-আযহারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব তানভীর আহমেদ, পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইজি এজাজ আহমেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক হারুনুর।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ইসলাম, আল্লাহ, কুরআন, হাদিস, কবর, হাশর, জান্নাত, জাহান্নাম, শরিয়ত, মারফত, হকিকত প্রভৃতির ব্যাখ্যা দেবেন হাক্কানী আলেম-ওলামারা। যাদের এ বিষয়ে জ্ঞান নেই তারা শরিয়তের ব্যাখ্যা দিতে গেলে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে, উত্তেজনাও সৃষ্টি হতে পারে। ধর্মের অবমাননা হতে পারে। এমনকি কটূক্তিও হতে পারে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আমরা আইন মেনে চলব। আমরা কেউ আইন হাতে তুলে নেব না, বিচারের ভার নিজের হাতে নেব না। বিচারের জন্য আইন আছে, আদালত আছে, সরকার আছে। সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার অনুরোধ জানান তিনি।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ কোরআনের উর্বর ভূমি। প্রতি বছরই বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এদেশের হাফেজ ও ক্বারীরা পুরস্কার নিয়ে আসছেন। এটি আমাদের জন্য গর্ব ও আনন্দের বিষয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে দ্বীনি দাওয়াত বিভাগ যে বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিযোগী নির্বাচন করে সেটা নিখুঁত হওয়ার কারণেই আমরা আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়ে আসছি। এজন্য তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। হাফেজ, ক্বারী, ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের কী কী সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা যায় সে বিষয়ে চেষ্টা চালানোর প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
টিজে/টিকে