সোমবার সকালে সদগুরুর ইশা যোগা সেন্টারে ‘ভূতা শুদ্ধি’ মতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন সামান্থা রুথ প্রভু এবং রাজ নিদিমরু। হাতেগোনা ক’জন আমন্ত্রিতদের সাক্ষী রেখে একেবারে সাদামাটা অনুষ্ঠানে সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন অভিনেত্রী-পরিচালক। তবে সামান্থার বিয়ের অনুষ্ঠান ছিমছাম হলেও দক্ষিণী সুন্দরীর সাজপোশাক নিয়ে কিন্তু সোশাল পাড়ায় চর্চা বিস্তর। লাল টুকটুকে বেনারসি, দক্ষিণী স্টাইলের সোনার গয়নার সঙ্গে বিশেষভাবে নজর কেড়েছে তাঁর বিয়ের আংটি। হিরেখচিত বরফি আকৃতির এই বহুমূল্য আংটির নেপথ্যে রয়েছে ইতিহাসযোগও।
সামান্থার হাতে যে আংটিটি দেখা গিয়েছে, সেই ডিজাইনটি আদতে মুঘলযুগের। এপ্রসঙ্গে গয়না প্রস্তুতকারক সংস্থা অভিলাষা প্রেট জুয়েলারির কর্ণধার অভিলাষা ভান্ডারী জানিয়েছেন, এই ধরণের আংটিকে পোর্ট্রেট-কাট বলা হয়। মুঘল যুগে এইধরণের হিরের গয়না ব্যবহার করা হত। সেসময়ে প্রিয়জনদের পোর্ট্রেট ছবি কিংবা খুশির মুহূর্তগুলিকে ক্ষুদ্রকারে এই আংটিতে গেঁথে দেওয়া হত। সেই প্রেক্ষিতেই এই ডিজাইনের আংটির নামকরণ হয় ‘পোর্ট্রেট-কাট’। পরবর্তীতে রাজারাজরাদের মধ্যে এই ডিজাইনের আংটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কারণ রুক্ষ, প্রাকৃতিক হীরায় এহেন নকশা কাটাও ছিল বেশ সহজ। তাছাড়া গোলাকৃতি হিরের আংটির তুলনায় এই ধরণের খাঁজকাটা নকশায় হিরের উজ্জ্বলতাও কয়েকগুণ বেশি চোখে পড়ে। সেই প্রেক্ষিতেই ‘পোর্ট্রেট-কাট’ আংটিকে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য এবং রোম্যান্সের প্রতীক বলা হয়। জানা যায়, এটি মুঘল সম্রাট শাহজাহানেরও বড্ড প্রিয় ছিল। আর দাম?

বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, বিয়েতে স্বামী রাজ নিদিমরুর তরফে সামান্থা যে আংটি উপহার পেয়েছেন তার আনুমানিক মূল্য ৫০ লক্ষ। যদিও অভিনেত্রীর এই আংটি কে ডিজাইন করেছেন? তার হদিশ পাওয়া যায়নি! বলা ভালো, তারকাদম্পতি নিজেরাই খোলসা করেননি। তবে সামান্থার দ্বিতীয়বিয়ের আংটি নিয়ে যে তুমুল চর্চা জারি, তা বলাই বাহুল্য। এমন আবহে নেটভুবনের একাংশের কৌতূহল, প্রাক্তন স্বামী নাগা চৈতন্যর দেওয়া আংটি কোন কাজে লাগালেন সামান্থা? জানা গিয়েছে, প্রথম বিয়ের হিরের আংটিটি বর্তমানে ‘পেন্টডেন্ট’ হিসেবে ব্যবহার করেন দক্ষিণী অভিনেত্রী।
এসএন