পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের কোনো সরকারের হাতে পূর্বেও ছিলো না। আর আগামীতেও থাকবে যা সেনাবাহীর হাতে তারাই পারেন শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে বলে মন্তব্য করেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। বলেন, আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠের রাষ্ট্র ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছি। বৈষম্য নিরসন নিশ্চিত করতে না পারলে আদিবাসীদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
দেশে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তির হার ৭.৩১ শতাংশ, যেখানে জাতীয় পর্যায়ে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তি হার ২৪.৫৭ শতাংশ। আদিবাসী জনগোষ্ঠীদের দারিদ্র্যের হার জাতীয় দারিদ্র্যের হারের ১৮.৭ শতাংশের চেয়ে অনেক বেশি। আর পার্বত্য চট্টগ্রামে ৬৫ শতাংশ ও আদিবাসী অধ্যুষিত সমতল এলাকায় ৮০ শতাংশ টিআইবির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
টিআইবির গবেষণা ফেলো রাজিয়া সুলতানার দাবি, ধর্মীয় ও জাতিগত এবং পেশাগত পরিচয়ের কারণে সুবিধার জন্য নির্বাচিত বা সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্যের সম্মুখীন হচ্ছেন আদিবাসীরা।
উন্নয়নের মূলধারায় আদিবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির তালিকাভুক্ত হতে ৫০০ থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হচ্ছে-এ কথা উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অতীতে কোনো সরকার শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি এবং আগামীতেও পারবে না। যা সম্ভব করতে পারে সেনাবাহিনী।
আদিবাসীদের সুবিধাবঞ্চিত করে আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রের দিকে যাচ্ছি। তাই সাধারণ নাগরিক হিসেবে তাদের অধিকার নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ইএ/টিকে