টেকসই সামুদ্রিক ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে ঠিকই; তবে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে দায়িত্বশীল আহরণ, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, বিজ্ঞানভিত্তিক সিদ্ধান্ত এবং কার্যকর সুশাসন অত্যন্ত জরুরি। ব্লু ইকোনমিকে জাতীয় অগ্রাধিকার হিসেবে চিহ্নিত করায় বিজ্ঞান-নীতি-কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সমন্বয়ে একটি টেকসই সামুদ্রিক ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের দ্য পেনিনসুলা হোটেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস আয়োজিত ‘মেরিন ফিশারিজ অ্যান্ড ব্লু ইনোভেশনস: সেইফগার্ডিং ওশান হারমনি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অবৈধ, অপ্রকাশিত ও অনিয়ন্ত্রিত মাছ ধরা একক দেশের পক্ষে মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। এজন্য আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতা জোরদার করতে হবে। গত ৭ বছরে ছোট পেলাজিক মাছের মজুত ১ লাখ ৫৮ হাজার টন থেকে কমে ৩৩ হাজার ৮১১ টনে নেমে এসেছে; যা ৭৮ দশমিক ৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

অন্যদিকে বড় শিকারি মাছ কমে যাওয়ায় জেলিফিশের আধিক্য দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে; যা পরিবেশগত ভারসাম্যের জন্য বিপজ্জনক সংকেত। এসব ফলাফল বঙ্গোপসাগরের ইকোসিস্টেমে দ্রুত হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত দেয়। এছাড়া ইলিশ জাতীয় ও বৈশ্বিক ঐতিহ্যের অংশ। ইলিশ আহরণে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষে, কিন্তু এই সম্পদ এখন হুমকির মুখে। সাগরের প্রতিটি স্তরে ইলিশ রক্ষায় সমন্বিত পদক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, বাংলাদেশে অত্যন্ত দক্ষ গবেষক ও বিজ্ঞানী আছেন। নীতি-নির্ধারণে তাদের গবেষণালব্ধ তথ্য প্রাধান্য দিতে হবে। ইকোসিস্টেম সুরক্ষা, সমুদ্রভিত্তিক পরিকল্পনা এবং জলবায়ু–সহনশীল মৎস্য ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দিতে হবে।

সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথের বিজনেস স্কুলের ড. পিয়ের ফাইলার, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুর রউফ, চবির উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সের পরিচালক ড. শেখ আফতাব উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

আরপি/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে ডিভাইস-ডেটা ও সেবাখাতে একযোগে সংস্কার: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব Dec 02, 2025
img
অনলাইন বেটিং কেলেঙ্কারিতে ইডির জিজ্ঞাসাবাদে নেহা শর্মা Dec 02, 2025
img
‘নূর’-এর গানে ঐশীকে মনের কথা জানালেন আরিফিন শুভ Dec 02, 2025
img
ট্রাম্পের ক্ষমার পর হন্ডুরাসের সাবেক প্রেসিডেন্টের মুক্তি Dec 02, 2025
img
পরীক্ষা না নিলে শিক্ষকরা শাস্তির মুখে পড়বেন: শিক্ষা উপদেষ্টা Dec 02, 2025
img
খালেদা জিয়ার এই পরিণতির জন্য শেখ হাসিনা দায়ী : রিপন Dec 02, 2025
img
যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সেনা সদস্যদের সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে: সেনাপ্রধান Dec 02, 2025
img
ভোটকে বিলম্বিত করতে কয়েকটি দল ষড়যন্ত্র করছে: সালাহউদ্দিন আহমদ Dec 02, 2025
img
খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে তিন বাহিনী প্রধান Dec 02, 2025
img
আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে ওমরাহ যাত্রীদের তথ্য চাইল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় Dec 02, 2025
img
প্রকাশিত হলো বিপিএলের চূড়ান্ত সূচি Dec 02, 2025
img
সরকারি বাসভবন থেকে বিতাড়িত হচ্ছেন কুকুরছানা ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তা Dec 02, 2025
img
টলিপাড়ায় ফের নীল-তৃণার দাম্পত্যে ফাটলের গুঞ্জন Dec 02, 2025
img
তারেক রহমানের ফেরা নিয়ে অনেকে অতিআগ্রহী, এত আলোচনার প্রয়োজন নেই: আমীর খসরু Dec 02, 2025
img
টেকসই সামুদ্রিক ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Dec 02, 2025
img
কেবিসির মঞ্চে অমিতাভের সাথে নাচলেন হারমানপ্রীতরা Dec 02, 2025
img
শেষদিকে গোল হজম করে হারলো বাংলাদেশ Dec 02, 2025
img
ঘোমটা দিয়ে ঢাকতে হবে মাথা, বিয়ের আগেই স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন রনদীপ Dec 02, 2025
img
দেশের বাজারে কমানো হলো স্বর্ণের দাম Dec 02, 2025
img
মুজিববাদ ও মওদুদীবাদের বিরুদ্ধে বিএনপি-এনসিপির ঐক্য চান পাটোয়ারী Dec 02, 2025