রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে তার বৈঠক খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে। এএফপির প্রতিবেদনে এই খবর বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা আরআইএ এই তথ্য জানিয়েছে, পুতিন জানান, আলোচনাটি আলাস্কায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হওয়া প্রস্তাবনাগুলোকেই কেন্দ্র করে এগিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আলোচনাটি দীর্ঘ হওয়ার কারণ ছিল, দূত উইটকফকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের প্রায় প্রতিটি বিষয় বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করতে হয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট জানান, ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইউরোপীয় দেশগুলোর সম্পৃক্ত হওয়া উচিত, তবে তারা যেনো এই প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত না করে।
এদিকে মস্কোয় অনুষ্ঠিত আলোচনার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে চান বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্যেই কিয়েভের প্রধান আলোচকের সঙ্গে পরবর্তী বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ ও জামাতা জ্যারেড কুশনার ক্রেমলিনে পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন।
ক্রেমলিন পরে জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের কিছু অংশ গ্রহণযোগ্য নয়। ওই প্রস্তাবে ইউক্রেনকে পূর্বাঞ্চলীয় দোনবাসের কিছু এলাকা ছাড়তে বলা হয়েছে, যা রাশিয়ার আক্রমণের প্রায় চার বছর পরও কিয়েভের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বলতে পারি তারা প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে যথেষ্ট ভালো বৈঠক করেছেন।’ তিনি আরো যোগ করেন, আলোচনাটি ‘খুব ভালো’ হয়েছে।
তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘এখনই কিছু বলা কঠিন, কারণ ব্যাপারটি উভয় পক্ষের ওপর নির্ভরশীল।’ যুদ্ধ থামাতে পুতিনের দিক থেকে উইটকফ এবং কুশনার সত্যিকারের আগ্রহের ইঙ্গিত পেয়েছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি যুদ্ধ শেষ করতে চান। তাদের ধারণা সেটাই।’
ট্রাম্প দাবি করেন, ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে ‘প্রায়’ সম্মতি দিয়েছে। তবে তিনি বলেন, কিয়েভের উচিত ছিল আগেই সম্মতি দেওয়া, বিশেষ করে ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে তার উত্তপ্ত বৈঠকের সময়।
মস্কো জোর দিয়ে বলেছে, পুতিন পুরো প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেননি। তারা এখনও কূটনীতির প্রতি অঙ্গিকারবদ্ধ। যদিও পুতিন আগেই সতর্ক করেছেন, ইউরোপ যুদ্ধ চাইলে মস্কো লড়াই করতে প্রস্তুত।
সূত্র : এএফপি
এমকে/এসএন