বিয়ের আঙিনায় সব প্রস্তুতি শেষ। পরিবার, ঘনিষ্ঠজন, দু’পক্ষের আনন্দে তখন উৎসবের রঙ। ঠিক সেই সময়েই হঠাৎ ঘনিয়ে এল অশনি সংকেত। স্মৃতি মন্ধানা ও পলাশ মুছলের বহুল আলোচিত বিয়ে আর হল না। প্রথমে স্থগিত, তারপর সরাসরি ভেঙে গেল সম্পর্ক। স্মৃতি সোশাল মাধ্যমে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন এই সম্পর্ক আর এগোবে না।
পলাশও নীরব থাকলেন না। নিজের সোশাল মাধ্যমে তিনি লিখলেন, জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়ের মুখোমুখি তিনি। বহু মানুষের ভিড়ে নিজের ব্যক্তিগত অনুভূতি নিয়ে ভুয়ো গল্প ছড়ানোয় কষ্ট পেয়েছেন। তার মতে, মিথ্যে আর চটুল গল্পের প্রতি মানুষের আকর্ষণই অনেক সময় প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে দেয়। তবু তিনি বিশ্বাস রেখেছেন, মানুষ একদিন এই গুজবনির্ভর চর্চা থামাতে শিখবে।
কিন্তু এখানেই থামেননি পলাশ। আরও কড়া ভাষায় জানিয়ে দিলেন, যাঁরা তার চরিত্র নিয়ে মিথ্যা প্রচার করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারা সেই মিথ্যাচার করেছেন, তা স্পষ্ট না করলেও তার বক্তব্যে ছিল ক্ষোভ এবং আহত মন।
বিয়ে ভাঙার প্রকৃত কারণ নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছিলই। অনুষ্ঠানের মধ্যেই নাকি এক কোরিওগ্রাফারের সঙ্গে পলাশকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা গেছে এমন দাবি ছড়িয়েছে সোশাল মাধ্যমে।
আরেক মহিলার সঙ্গে তার ব্যক্তিগত বার্তা ফাঁস হওয়ার খবরও বাতাসে উড়েছে। অনেকে মনে করছেন, এই কারণেই স্মৃতি সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। তবে স্মৃতি এ বিষয়ে একটি কথাও বলেননি।
২৩ নভেম্বর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই স্মৃতির বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে যাওয়ায় অনুষ্ঠান স্থগিত হয়। পলাশও তখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এতকিছুর পরও অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, সময় ও পরিস্থিতি সামলে দুই তারকা হয়তো ফিরে আসবেন স্বাভাবিকতায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যে সম্পর্কের ভিত ভেঙে পড়েছিল, তা আর জোড়া লাগল না।
এই অস্থির সময়ের মধ্যেও পলাশের সোশাল মাধ্যমের বার্তায় ছিল সম্পর্ক ছিন্ন করার স্পষ্ট ইঙ্গিত। নিজেকে গুছিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করেছেন তিনি। স্মৃতি যদিও নীরব, তবুও তার সিদ্ধান্ত যেন দৃঢ় ও ভেবেচিন্তে নেওয়া।
দু’জনেই এখন আলাদা পথে। আর চারপাশের গুঞ্জন, অভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগের মধ্যেও তাদের ব্যক্তিগত সময় নিঃসন্দেহে আরও জটিল হয়ে উঠেছে। তবে এই ঘটনার সবচেয়ে আলোচিত দিক ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভাঙার পরও সোশাল মাধ্যমের ঝড় কতটা গভীরভাবে প্রভাব ফেলতে পারে, সেটাই আবারও সামনে এল।
আরপি/টিকে