কলা দারুণ উপকারী একটি ফল। বাচ্চা থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সবাইকে চিকিৎসকরা এই ফলটি খাওয়ার পরামর্শ দেন। কলা খেলে একাধিক উপকারিতা পাওয়া যায়। এই সুস্বাদু ফল আমাদের শক্তি, হজম এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে কলার খাওয়ার সঠিক সময় নিয়ে অনেক ধরণের মতভেদ রয়েছে। এই প্রতিবেদে বিশেষজ্ঞদের কলা খাওইয়ার সঠিক সময় প্রসঙ্গে মতামত তুলে ধরা হয়েছে। উদ্দেশে ভেদে সময় নিয়ে কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
শক্তি বৃদ্ধির জন্য সেরা সময়: যদি শরীরে দ্রুত শক্তি প্রয়োজন হয়, তাহলে কলা খাওয়ার কিছু ভালো সময় হতে পারে:
ব্যায়ামের আগে: ব্যায়ামের জন্য দ্রুত শক্তি প্রয়োজন হলে কলা খাওয়া কার্যকর।
সকালের নাশতার সঙ্গে: দিনের শুরুতে শক্তি বজায় রাখতে কলা গ্রহণ করুন।
দুপুরের সময়: মধ্যাহ্নের পর হঠাৎ ক্লান্তি কাটাতে কলা সহায়ক।
কলায় প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা দেহে দ্রুত শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। তাই কলা খাওয়ার ১৫–৩০ মিনিট আগে তা গ্রহণ করলে শরীর সহজে শক্তি শোষণ করতে পারে।
খাবারের সঙ্গে: খাবারের সময় কলা খাওয়াই সবচেয়ে ভালো। এটি পেট ভর্তি রাখে এবং অন্ত্রের কার্যক্রমকে উন্নত করে।
কাঁচা কলা: অপুর্ণ কলায় বেশি রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ থাকে, যা হজমের জন্য চ্যালেঞ্জিং হলেও স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়ার খাদ্য হিসেবে কাজ করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সেরা সময়: ওজন কমাতে চাইলে কলা খাওয়ার কিছু কার্যকর সময় হলো:
খাবারের আগে: খাবারের আগে কলা খেলে তৃপ্তি বৃদ্ধি পায়, ফলে খাবারের পর অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা কমে।
স্ন্যাকস হিসেবে: একটি মাঝারি কলায় মাত্র ১০৫ ক্যালরি থাকে, যা কম ক্যালরির স্ন্যাক হিসেবে উপযুক্ত।
ব্যায়ামের আগে: ব্যায়ামের আগে কলা খেলে শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং আরও কার্যকরভাবে ক্যালরি পোড়ানো যায়।
ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেটের কারণে কলা আপনাকে দীর্ঘক্ষণ তৃপ্ত রাখে এবং শরীরকে শক্তি সরবরাহ করে।
কলা বেশি খেলে বা খালি পেটে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। যাদের ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা বা মাইগ্রেন আছে, তারা কলার পরিমাণ সীমিত রাখবেন। এছাড়া কলার অ্যালার্জি থাকলে অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে।
কলা সস্তা, সহজলভ্য এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর ফল, যা সঠিক সময়ে খেলে আমাদের শক্তি, হজম এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
সূত্র: ভেরি ওয়েল হেলথ
এমকে/টিকে