চলতি বছরের শুরুর দিকে ড্রোন হামলার পর ইউক্রেনের চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রের সুরক্ষা কাঠামোর প্রধান নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যক্ষমতা হারিয়েছে। ১৯৮৬ সালের পারমাণবিক দুর্ঘটনার পর তেজস্ক্রিয় পদার্থকে আটকে রাখার জন্য এটি তৈরি করা হয়েছিল।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের পারমাণবিক তদারকি প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক পারমাণবিক সংস্থা (আইএইএ) এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউক্রেনের অভিযোগ, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওই ড্রোন হামলার জন্য রাশিয়া দায়ী। তবে ক্রেমলিন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আইএইএ জানিয়েছে, গত সপ্তাহের পরিদর্শনে দেখা গেছে ২০১৯ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়া ইস্পাত দিয়ে আবদ্ধ কাঠামোটি ফেব্রুয়ারিতে ড্রোনের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর এক কার্যকারিতা কমে গেছে।
আইএইএ’র মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পরিদর্শন মিশন নিশ্চিত করেছে যে সুরক্ষা কাঠামোটির আবদ্ধতার সক্ষমতাসহ প্রাথমিক নিরাপত্তা-সম্পর্কিত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কার্যকারিতা হারিয়েছে, তবে এর লোড-বেয়ারিং স্ট্রাকচার বা মনিটরিং সিস্টেমে স্থায়ী কোনো ক্ষতি হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, এরইমধ্যে মেরামত করা হয়েছে, তবে ব্যাপক পুনর্নির্মাণ জরুরি যাতে ভবিষ্যতে আরও ক্ষতি রোধ করা যায় এবং দীর্ঘমেয়াদী পারমাণবিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
১৯৮৬ সালের ভয়াবহ চেরনোবিল বিস্ফোরণের পর ইউরোপজুড়ে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধে প্রচুর কর্মী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করেছিল। এই কেন্দ্রের সর্বশেষ কার্যকর চুল্লিটি ২০০০ সালে বন্ধ করা হয়।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের প্রথমদিকে কেন্দ্রটি ও আশেপাশের এলাকা এক মাসের বেশি রাশিয়ার দখলে ছিল।
কেএন/টিকে