দেশে গত ৫ বছরে বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে ৪২ শতাংশ। দ্রুত এই ঋণ পরিশোধের চাপ দ্রুত বাড়ছে, এমন দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। সরকারি-বেসরকারি খাতে নেয়া বৈদেশিক ঋণ সুদাসলে পরিশোধের পরিমাণ গত পাঁচ বছরে বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রবাসী আয় ও রফতানি বাড়ানো জরুরি।
বিদেশি ঋণ নিয়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল, বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। এতে ৫ বছরে দেশে বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে ৪২ শতাংশ। এই ঋণ পরিশোধের চাপ দ্রুত বাড়ছে, এমন দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশও।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেট রিপোর্ট ২০২৫-এ উঠে এসেছে এমন তথ্য। বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০২৪ সাল শেষে বাংলাদেশে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ১০ হাজার ৪৪৮ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা ২০২০ সালে ছিল ৭ হাজার ৩৫৫ কোটি ডলার।
সরকারি-বেসরকারি খাতে নেয়া বৈদেশিক ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের পরিমাণ গত পাঁচ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে। ২০২০ সালে বৈদেশিক ঋণের বিপরীতে সুদ ও আসল হিসেবে ৩৭৩ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয়েছিল। ২০২৪ সালে তা হয়েছে প্রায় ৭৩৫ কোটি ডলার।
ট্রেস কনসালটিংয়ের সিইও ফুয়াদ এম খালিদ হোসেন বলেন, ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে ডলারের ওপর চাপ না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এজন্য রফতানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ সচল রাখতে হবে। কারণ এটি দুই-একমাসে সমাধান করা সম্ভব নয়, এর জন্য কাজ করতে হবে।
তবে গত পাঁচ বছরে ঋণ ছাড় খুব একটা বাড়েনি বিশ্বব্যাংকের হিসাবে। ২০২৪ সালে সরকারি-বেসরকারি খাতে ঋণ ছাড়ের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১১০ কোটি ডলার। পাঁচ বছর আগে যা ছিল ১০২২ কোটি ডলার।
এমআর/টিকে