দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো। তিনি কখনো তিনি রাগী প্রেমিক, কখনো তোতলা যুবক, কখনো সাইকো কিলার, আবার কখনোবা খনি শ্রমিক। গত এক দশকে তিনি প্রমাণ করেছেন, নিশো কেবল একজন তারকা নন, তিনি একজন পুরোদস্তুর অভিনেতা। এই অভিনেতার জন্মদিন আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর)।
প্রতিবছর জন্মদিনে ভক্তদের সঙ্গে কেক কাটেন ছোট ও বড় পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো। তবে এবারের জন্মদিনে সেটা হচ্ছে না। কাজাখস্তানে রেদওয়ান রনির ‘দম’ ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত আছেন তিনি।
গুনী এই অভিনেতার জীবনের শুরুর গল্পটা মসৃণ ছিল না। ২০০৩ সালে মডেলিংয়ের মাধ্যমে গ্ল্যামার জগতে তার পথচলা শুরু। অমিতাভ রেজার বিজ্ঞাপনে কাজ করে শুরুতে নজর কাড়লেও, নাটকে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করতে তাকে পাড়ি দিতে হয়েছে দীর্ঘ ও কঠিন পথ। একসময় যখন ইন্ডাস্ট্রিতে রোমান্টিক হিরোদের জয়জয়কার, তখন নিশো স্রোতে গা ভাসাননি। তিনি অপেক্ষা করেছেন, নিজেকে ভেঙেছেন এবং গড়েছেন।
ছোট পর্দার ‘মুকুটহীন রাজা’ একটা সময় ছিল যখন টিভি নাটকের দর্শক ভাগ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নিশো তার ‘মেথড অ্যাক্টিং’ দিয়ে সব শ্রেণির দর্শককে এক সুতোয় গেঁথেছেন। ভিকি জাহেদের ‘পুনর্জন্ম’ সিরিজের রাফসান হক চরিত্রটি তাকে নিয়ে গেছে কাল্ট ক্লাসিক পর্যায়ে। ‘বুকের বাঁ পাশ’, ‘লতা অডিও’, কিংবা ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার’-এর মতো নাটকগুলো তার ক্যারিয়ারের একেকটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি প্রমাণ করেছেন, নায়ক হতে হলে কেবল সিক্স প্যাক বা ফর্সা চেহারার প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন চরিত্রের গভীরে ঢোকার সাহস।
ওটিটি এবং বড় পর্দার ‘মাসুদ’, নাটকের গণ্ডি পেরিয়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও নিশো দেখিয়েছেন তার কারিশমা। ‘মরীচিকা’র ভিলেন কিংবা ‘কাইজার’-এর ডিটেকটিভ-সবখানেই তিনি সেরা। তবে ভক্তদের দীর্ঘদিনের আক্ষেপ ছিল-বড় পর্দায় কবে আসবেন নিশো?
সেই অপেক্ষার অবসান ঘটে ২০২৩ সালে। রায়হান রাফী পরিচালিত ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় রাজকীয় অভিষেক হয় তার। সিনেমায় ‘মাসুদ’ চরিত্রে তার দুর্দান্ত অভিনয় এবং সিনেমার ব্যবসায়িক সাফল্য বুঝিয়ে দেয়-তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া। প্রথম সিনেমাতেই তিনি জানান দিয়েছেন, বড় পর্দাটা তাকে ধারণ করার জন্যই প্রস্তুত ছিল।
কেএন/টিকে