না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন টালিউড ইন্ডাস্ট্রির বর্ষীয়ান অভিনেতা কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়। রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে মৃত্যু হয়েছে তার। মৃত্যুকালে ৮১ বছর বয়স হয়েছিল এ প্রখ্যাত অভিনেতার। আর তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে টালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী আর্টিস্ট ফোরামের পক্ষ থেকে সোহন বন্দোপাধ্যায় ও দিগন্ত বাগচী জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন অভিনেতা কল্যাণ। ম্যালেরিয়া, টাইফয়েডসহ নানা রোগ বাসা বেধেছিল শরীরে। এ কারণে দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। অসুস্থতার কারণে অভিনয় থেকেও দূরে ছিলেন।
সোহন বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আর্টিস্ট ফোরামের সদস্যরা কল্যাণের কঠিন সময় সাধ্যমত পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন।
এদিকে জানা গেছে, কল্যাণ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার পর রাতেই হাসপাতাল থেকে মরদেহ সরাসরি তার কেওড়াতলা মহাশ্মশানে নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানেই শেষকৃত্য হওয়ার কথা।
প্রসঙ্গত, পুণে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে অভিনয়ের ওপর পড়ালেখা করেছেন কল্যাণ। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘আপনজন’। তখন ‘সাগিনা মাহাতো’, ‘ধন্যি মেয়ে’সহ চার শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তপন সিংহ ও অরবিন্দ মুখ্যার্জির প্রিয় অভিনেতাও ছিলেন তিনি।
এছাড়া সত্যজিৎ রায়ের ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন কল্যাণ। তার সমসাময়িক অভিনেতারা হচ্ছেন- সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জিত মল্লিক, সন্তু মুখোপাধ্যায়, দীপঙ্কর দে।
অভিনেতা কল্যাণ বড়পর্দার পাশাপাশি ছোটপর্দায়ও সক্রিয় ছিলেন। সুজয় ঘোষের হিন্দি সিনেমা ‘কহানি’, সিরিজ ‘তানসেনের তানপুরা’, ধারাবাহিক ‘এক আকাশের নিচে’তে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন তিনি।
পিএ/টিএ