অভয়া কাণ্ডের পর থেকেই ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোহিনী সরকারের রাজনীতিতে যোগদানের গুঞ্জন শুরু হয়। ওই সময় সোহিনী এই পুরো ঘটনাটি নিয়ে যেভাবে সক্রিয় ও সরব হয়েছিলেন, তাতে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন হয়তো অচিরেই তাকে রাজনৈতিক মঞ্চে দেখা যাবে।
এমন ভাবনার পেছনে কারণও ছিল এর আগেও টলিউডের অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীকেই একইভাবে সমাজিক ইস্যুতে সরব হওয়ার পর রাজনীতিতে যুক্ত হতে দেখা গিয়েছে। যদিও অভয়া কাণ্ডের এক বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হতে দেখা যায়নি এই অভিনেত্রীকে।
তবে সম্প্রতি 'রঘু ডাকাত' ছবির প্রচারের সময় তৃণমূল নেতার সঙ্গে সোহিনীর নাচের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের আলোচনা শুরু হয়। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিনেত্রীকে নিয়ে তির্যক মন্তব্যও করেছিলেন।
অবশেষে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন সোহিনী সরকার। ভারতীয় গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন রাজনীতিতে তার যোগদানের ব্যাপারে।
সোহিনী বলেন, ‘আমার কাছে যদি প্রস্তাব আসে, আমি তবুও কোনোভাবেই, কোনো অর্থেই, কোনো রাজনৈতিক দলে যোগদান করতে চাই না। তৃণমূল হোক বা কংগ্রেস, বিজেপি হোক অথবা সিপিএম আমি কোনো রাজনৈতিক দলের অংশ হতে চাই না।’
‘আমি যদি কখনো রাজনৈতিক দলের অংশ হয়ে যাই, তাহলে আমার আর কিছু বলার থাকবে না। আমাকে তখন পুরোপুরি চুপচাপ হয়ে যেতে হবে।’
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা গেছে, ছোট ও বড় পর্দার বহু তারকাই সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। একটা সময় শিল্পীরা রাজনৈতিক ব্যাপার থেকে নিজেদের দূরে রাখলেও, এখন সেই ছবিটা অনেকটাই উল্টে গিয়েছে। দেব থেকে শুরু করে মিঠুন চক্রবর্তীর মতো বড় তারকারাও এখন সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করছেন।
এসএন