আগামী ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণের জন্য ৪৪ লাখ ৬০ হাজার ২১৭ কপি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ২০ কোটি ৪২ লাখ ১৭ হাজার ৭৯৫ টাকা ৩৭ পয়সা।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের ইবতেদায়ি (প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণি) স্তরের বিনামূল্যে বিতরণের যোগ্য ১৬ লাখ ৫০ হাজার ৯৮০ কপি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এসব পাঠ্যপুস্তকের জন্য ব্যয় হবে ৪ কোটি ৫৮ লাখ ৬ হাজার ৩৫৯ টাকা ৫১ পয়সা।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) ষষ্ঠ শ্রেণি, দাখিল ষষ্ঠ শ্রেণি ও কারিগরি ষষ্ঠ শ্রেণি বিনামূল্যে বিতরণের যোগ্য ৬ লাখ ৬০ হাজার ৯২৮ কপি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ জন্য ব্যয় হবে ১ কোটি ৯৫ লাখ ৮৫ হাজার ৩২৯ টাকা ১১ পয়সা।
এছাড়া বৈঠকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) নবম শ্রেণি, দাখিল নবম শ্রেণি, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল নবম শ্রেণি এবং কারিগরি ট্রেড নবম ও দশম শ্রেণির বিনামূল্যে বিতরণের যোগ্য ২১ লাখ ৪৮ হাজার ৩০৯ কপি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৩ কোটি ৮৮ লাখ ২৬ হাজার ১০৬ টাকা ৭৫ পয়সা।
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘কিছু পাঠ্যবইয়ের ক্ষেত্রে পুনঃ দরপত্রের প্রয়োজন হয়েছিল। তবে সার্বিক অনুমোদন প্রক্রিয়া এখন শেষ হয়েছে। যে বইগুলো বাকি ছিল, সেগুলোর জন্য আমরা পুনঃ দরপত্র চেয়েছিলাম। আগের সব অনুমোদনও নিষ্পত্তি হয়েছে। সামান্য কিছু দেরি হলেও আশা করছি সময়মতো বই পাওয়া যাবে।’
কত দিন দেরি হতে পারে, জানতে চাইলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার জানুয়ারির মধ্যেই লক্ষ্য পূরণে কাজ করছে। আমাদের লক্ষ্য জানুয়ারির মধ্যেই সবার হাতে বই পৌঁছে দেয়া।
এসএস/এসএন