রূপালি পর্দার জগত হলিউডে এখন চাপা উত্তেজনা, ভয় আর উদ্বেগের আবহ। কারণ, সব কাজের কাজী হয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। খবর আসছে, ইতোমধ্যে অনেকে কাজ হারিয়েছেন। তার ওপর যখন এআই-নির্মিত নায়িকা টিলি নরউড-এর আগমন ঘটল, তখন থেকেই শিল্পীদের মধ্যে কাজ হারানোর সেই আতঙ্ক যেন আরও কয়েক গুণ বেড়ে গেল।
ইন্ডাস্ট্রিজুড়ে এআই-এর বিরুদ্ধে পরিস্থিতি যখন টালমাটাল, তখন বিষয়টি নিয়ে আর চুপ থাকতে পারলেন না অস্কারজয়ী অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও।
সম্প্রতি টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অত্যন্ত সহজ কথায় বোঝাতে চাইলেন, এআই হয়তো নিখুঁতভাবে নকল বা অনুকরণ করতে পারে, কিন্তু মানুষের ‘হৃদয় থেকে আসা’ সেই আসল জিনিস বা অনুভূতি তৈরি করতে পারে না। তাই তাকে প্রকৃত শিল্প বলা যায় না।
তার ভাষায়, ‘এআই হয়তো নতুন কিংবা শিক্ষানবীশ নির্মাতাদের জন্য কাজে লাগতে পারে, ভালো একটু হেল্পিং টুল হতে পারে। এতে নতুন ধরনের ভিজ্যুয়াল বা কাজ হতে পারে। কিন্তু শিল্প বলতে যা বোঝায়, যেটাতে মানুষের চিন্তা, আবেগ, বাস্তব অভিজ্ঞতার ছাপ থাকে; সেটা শুধু মানুষের কাছ থেকেই আসবে।’
এই অভিনেতা আরও বোঝাতে চাইলেন, মানুষের তৈরি শিল্প সময়ের পরীক্ষায় টিকে থাকে, মানুষ মনে রাখে। কিন্তু এআইয়ের কাজ স্মৃতি তৈরি করে না, অনুভূতির ছাপ রাখে না।
এআই দিয়ে তৈরি গান বা মিক্সড ট্র্যাকের উদাহরণ দেন ডিক্যাপ্রিও। বলেন, ‘মাইকেল জ্যাকসন ও উইকেন্ডের মিশ্রণ, কিংবা অ্যাল গ্রিনের সোল স্টাইলে ট্রাইব কল্ড কোলাব, এসব শুনতে দারুণ লাগে ঠিকই; তবে সেটা ওই ১৫ মিনিটের জন্যই। কিন্তু তারপরই সেগুলো ইন্টারনেটের ভিড়ে হারিয়ে যায়।’
হলিউডে এখন এআই- কে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ব্যাপকভাবে দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি পরিচালক গিলেরমো দেল তোরো ‘গোথাম অ্যাওয়ার্ডস’-এর মঞ্চেই বলেছিলেন, ‘ফা***ক এআই।’
এছাড়াও এই নির্মাতা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমার জীবনে এআইয়ের কোনো জায়গা নেই। সিনেমায় এর ব্যবহার করার চেয়ে মরাই ভালো।’
এমআর