বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানের জীবনের সবচেয়ে বড় মোড় এসেছিল অল্প বয়সেই, যখন একসঙ্গে বাবা-মাকে হারিয়ে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। শিশুমনে তখন মনে হয়েছিল, তারা আকাশে তারা হয়ে গেছেন, আর তাকে আর দেখতে পাবেন না। সেই বেদনা ধীরে ধীরে তার ভেতরে গড়ে তোলে এক অদম্য লক্ষ্য-একদিন এমন মানুষ হতে হবে, যার সাফল্য ওপার থেকেও দেখা যায়।
সেই সংকল্প নিয়েই শুরু হয়েছিল তার দীর্ঘ পথচলা। প্রতিটি মুহূর্তে পরিশ্রম, শৃঙ্খলা আর অবিচল ধৈর্য ছিল একমাত্র সঙ্গী। সময়ের সঙ্গে সেই স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হলো। শাহরুখ জানান, সৃষ্টিকর্তা তাকে দয়াময় হাতেই পথ দেখিয়েছেন। সম্প্রতি লন্ডনে জনপ্রিয় ছবির অনুপ্রেরণায় একটি ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য স্থাপন করেছেন তিনি। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের স্বীকৃতি। আর দুবাইয়ে তার নামে একটি ভবন দাঁড়িয়ে গেছে-যা তার সাফল্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
এই সমস্ত অর্জনের গভীরে লুকিয়ে আছে একটাই উদ্দেশ্য-মা-বাবার প্রতি অনন্ত ভালোবাসা। শাহরুখ মনে করেন, আজ তার সাফল্য যেন আকাশের ওপারেও আলো ছড়ায়, বাবা-মা যেন অনুভব করতে পারেন তাদের ছেলে সত্যিই বড় কিছু হয়ে উঠেছে। সেই ছোটবেলার শূন্যতাই আজ তার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রেরণা, সবচেয়ে বড় বাঁকবদল।
আরপি/এসএন