আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প ও তার শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে কোন তদন্ত করলে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের কর্মকাণ্ড ও গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরাইলি নেতাদের বিরুদ্ধে কোন তদন্ত না করার দাবি জানিয়েছে ওয়াশিংটন। তবে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হলে আইসিসির দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সম্মতি লাগবে। যা বেশ জটিল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) মার্কিন সার্বভৌমত্বের ওপর ‘হস্তক্ষেপকারী’ হিসেবে দেখে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার আদালাতের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিলো ট্রাম্প প্রশাসন।
মার্কিন প্রশাসন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে তাদের প্রতিষ্ঠা দলিল সংশোধন করে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে কোনও তদন্ত না করার নিশ্চয়তা দেয়ার দাবি জানিয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আইসিসি যদি যুক্তরাষ্ট্রের এই দাবি, গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরাইলি নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত বাতিল এবং আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে পুরানো তদন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করার দাবি না মানে, তাহলে আরও আইসিসি কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হতে পারে। এমনকি আদালতকেও সরাসরি নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হতে পারে।
ক্যারিবীয় অঞ্চলে মার্কিন অভিযানে ৮০ জনের বেশি নিহত হওয়া, কয়েকজনকে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে কি না এসব নিয়ে কংগ্রেসেও তদন্ত শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে। মার্কিন প্রশাসনের আশঙ্কা ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হলে ২০২৯ সালে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হতে পারে।
চলতি বছর আইসিসির ৯ কর্মকর্তা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন। নতুন নিষেধাজ্ঞা দিলে আদালতের দৈনন্দিন কার্যক্রমই ব্যাহত হতে পারে। ঝুঁকিতে পড়তে পারে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ থেকে শুরু করে ব্যাংক লেনদেনও। তবে রোম সংবিধি বদলাতে হলে আইসিসির ১২৫ সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশের সম্মতি লাগবে—যা অত্যন্ত কঠিন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ইএ/এসএন