বলিউডের জনপ্রিয় তারকা জুটি অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই। দুই তারকার বিচ্ছেদের গুঞ্জন প্রায় সময় শোনা যায়। আর এই গুঞ্জন তাদের একমাত্র মেয়ে আরাধ্যা বচ্চন কীভাবে দেখেন সে নিয়ে এবার কথা বলেছেন অভিষেক। চলচ্চিত্র তারকাদের সন্তান হওয়ায় প্রচণ্ড নজরদারি ও কৌতূহলের পরিবেশে বেড়ে উঠলেও আরাধ্যা নিজের মতো করে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে এটাও জানান অভিনেতা।
সম্প্রতি অভিষেক সাক্ষাৎকারে বলেন, আরাধ্যার মানসিক দৃঢ়তা গড়তে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। ঐশ্বরিয়া আরাধ্যার মধ্যে চলচ্চিত্র শিল্পের প্রতি গভীর সম্মানবোধ তৈরি করেছে। ওকে শিখিয়েছে আমরা আজ যা, তা দর্শকের ভালোবাসার কারণে।
অভিষেক জানান, ১৪ বছর বয়সী আরাধ্যা এখন নিজের মতামতে খুবই দৃঢ় এবং আত্মবিশ্বাসী এক কিশোরী। পরিবারে বিভিন্ন বিষয়ে তার নিজস্ব মত থাকে, যা তিনি ভীষণ সুন্দরভাবে প্রকাশ করেন। বাবা-মা তারকা হয়েও আরাধ্যা সোশ্যাল মিডিয়ার ঝড়ের বাইরে। অভিষেক জানান, তার মেয়ের এখনও কোনও মোবাইল ফোন নেই। ওর বন্ধুরা যোগাযোগ করতে চাইলে ঐশ্বরিয়ার ফোনে কল দিতে হয়। এটা আমরা অনেক আগেই ঠিক করে রেখেছি। ইন্টারনেট ব্যবহারের অনুমতি থাকলেও তা শুধুই পড়াশোনার কাজে। আরাধ্যা স্কুল, হোমওয়ার্ক ও রিসার্চ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করে।
অন্যদিকে, প্রায় সময় অভিষেক আর ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের গুঞ্জন শোনা যায়। বিষয়টি দুই তারকার সন্তান কীভাবে দেখে এবং তার ওপর কি প্রভাব পড়ে সে প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, এসব কন্টেন্ট আরাধ্যা দেখে না। ওর আগ্রহই ওসব বিষয়ে নেই। আর ঐশ্বরিয়া ওকে শিখিয়েছে অনলাইনে যা পড়বে, সব বিশ্বাস করা যাবে না। আমার বাবা-মা যেমন আমার সঙ্গে ছিলেন, আমরাও পরিবারে সবকিছু নিয়ে খোলামেলা থাকি তাই আরাধ্যা এসব নিয়ে ভাবে না।আরাধ্যার প্রতি নিজের ভালোবাসার কথা বলতে গিয়ে অভিষেক বলেন, ঐশ্বরিয়া মা হতে চলেছেন জানতে পারার পর ধূমপান ও মদ্যপান দুটোই ছেড়ে দিয়েছেন। এখন আর ছুঁই না।
প্রসঙ্গত, অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাইয়ের প্রেম-বিয়ে বলিউডের অন্যতম আলোচিত অধ্যায়। ‘গুরু’ সিনেমার শুটিংয়ে তাদের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে, ধীরে ধীরে দুই তারকার মধ্যে ভালোবাসা গভীর হয়। পরিবার ও ভক্তদের আগ্রহের মাঝেই ২০০৭ সালে ঐতিহ্যবাহী রীতিতে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর পর, ২০১১ সালে তাদের ঘর আলো করে আসে কন্যাসন্তান আরাধ্যা। মিডিয়ার স্পটলাইটে থেকেও তারা মেয়েকে সাধারণভাবে বড় করার চেষ্টা করেন।
সূত্র: এনডিটিভি
আরপি/এসএন