বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা গোবিন্দ ও তার স্ত্রী সুনীতা আহুজার দাম্পত্য জীবন নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই। সম্প্রতি ষাটের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা অভিনেতার বিবাহবিচ্ছেদের জল্পনাও শোনা গিয়েছিল। এবার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনো লুকোচুরি না করে, তিনি এবার প্রকাশ্যে আনলেন তার জীবনের এক মর্মান্তিক যন্ত্রণার কথা অকালে সন্তান হারানোর বেদনা।
গোবিন্দ ও সুনীতার ঘরে তাদের দ্বিতীয় কন্যাসন্তানের জন্ম হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, সেই সন্তানকে বাঁচাতে পারেননি তারা। সুনীতার কোলেই মৃত্যু হয় সেই সদ্যোজাতর।
সুনীতা আহুজা সম্প্রতি সেই কষ্টের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘আমার আর গোবিন্দের দ্বিতীয়বার একটি মেয়ে হয়েছিল। আমার প্রথম সন্তান টিনার জন্মের পর সে জন্ম নেয়। কিন্তু সময়ের আগেই হয়েছিল। মাত্র আট মাসেই তার জন্ম হয়।’
তিনি আরও জানান, সময়ের আগেই জন্ম নেওয়ায় সেই সদ্যোজাতর ফুসফুস সেভাবে তৈরি হতে পারেনি, যার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয়। সুনীতা বলেন, ‘ফুসফুস সেভাবে তৈরি হওয়ার আগেই ওর জন্ম হওয়ায় সমস্যা দেখা দেয়। ভালো ভাবে শ্বাস নিতে পারত না। আমার কোলেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করল সে।’
দ্বিতীয় সন্তানকে হারানোর পেছনে নিজের কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কথা স্বীকার করে সুনীতা জানান, দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের সময়ও তিনি গোবিন্দের সঙ্গে প্রায় সব জায়গায় যেতেন। তিনি বুঝতে পারেননি, অতিরিক্ত এই যাতায়াত পরে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘আসলে প্রথম সন্তান সহজে হয়েছিল, তাই দ্বিতীয়বার যে এমন সমস্যা হবে, তা বুঝতে পারিনি। ওই সময় ভারী জিনিসপত্র তোলাও আমার উচিত হয়নি।’
বর্তমানে গোবিন্দ ও সুনীতার সংসারে রয়েছে এক কন্যা, নাম টিনা, ও পুত্র যশবর্ধন। এই ঘটনার জন্য খানিকটা আক্ষেপ করে সুনীতা আরও বলেন, দ্বিতীয় মেয়েটি যদি জীবিত থাকত, তবে আজ তিনি তিন সন্তানের জননী হতেন।
আরপি/এসএন