সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে জিরা আমদানি কমেছে ৩৫৬ টন। আমদানি কমে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে মসলাপণ্যটির সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হছে, যার প্রভাব পড়েছে খুচরা দামে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় বাজারে সব ধরনের জিরার দাম কেজি প্রতি ৫০-৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
গতকাল সাতক্ষীরা জেলা সদরের সুলতানপুর বড় বাজারে দেখা যায়, ভারতে আমদানিকৃত জিরা কেজি প্রতি ৬৩০-৬৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সিরিয়া ও তুরস্কের জিরা বিক্রি হচ্ছে ৮৪০-৮৫০ টাকায়।
মসলাপণ্য বিক্রেতা মেসার্স সরদার স্টোরের পরিচালক আবদুল হাকিম বলেন, গত দুই মাস ধরে জিরার সরবরাহ কম পাচ্ছি। পাইকারি বাজার থেকেই দাম বাড়তি, তাই খুচরা বাজারেও তার প্রভাব পড়েছে। আগে যেটা ৫৮০ টাকায় দিতাম, এখন সেটা দিতে হচ্ছে ৬৩০-৬৪০ টাকায়। সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে দাম আরও বাড়তে পারে।
জিরার বাড়তি মূল্য সাধারণ ক্রেতাদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। বাজারে জিরা কিনতে আসা শহরের গৃহিণী লামিয়া বেগম বলেন, মাসের বাজার করতে এসে দেখি জিরার দাম প্রায় ৬০ টাকা বেড়ে গেছে। রান্নায় জিরা ব্যবহার না করে উপায় নেই, অথচ বাড়তি দামে কিনতে গিয়ে বাজেট গুলিয়ে যাচ্ছে।
একই ধরনের অভিযোগ করেন ভ্যানচালক মঈন উদ্দিন। তিনি বলেন, সব জিনিসের দাম বাড়ছে, এখন আবার মসলার দামও বাড়ল। আমাদের মতো মানুষের জন্য এটা বড় চাপ। প্রতিদিনই নতুন দাম শুনতে হয়।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে এ বন্দর দিয়ে মোট ৮৬১ টন জিরা আমদানি হয়েছে, যার মূল্য ৩৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে আমদানি হয়েছিল ১ হাজার ২১৭ টন, যার মূল্য ছিল ৫২ কোটি ১৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক বছরে জিরা আমদানি কমেছে ৩৫৬ টন।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ বলেন, ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে জিরা আমদানি কমে যাওয়ায় বাজারের দাম কিছুটা বেড়েছে। সরবরাহ বাড়লে খুব দ্রুতই দামের স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে বলে আশা করছি।
পিএ/এসএন