দীর্ঘ সময় আত্মগোপনে থাকার পর অবশেষে জনসমক্ষে এলেন ভেনিজুয়েলার বিরোধী দলীয় নেতা এবং এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মারিয়া করিনা মাচাদো। সরকারি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং গ্রেপ্তারের প্রবল ঝুঁকি উপেক্ষা করে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করতে তিনি নরওয়ের অসলোতে পৌঁছেছেন।
বুধবার (১০ই ডিসেম্বর) মাঝরাতে অসলোর গ্র্যান্ড হোটেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ৫৮ বছর বয়সী মাচাদো সমবেত সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। গত জানুয়ারির পর এই প্রথম তাকে প্রকাশ্যে দেখা গেল। এক আবেগঘন মুহূর্তে তিনি নিরাপত্তা বেষ্টনী অতিক্রম করে সমর্থকদের কাছাকাছি যান এবং তাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।
এর আগে বুধবার দিনের শুরুতে মাচাদোর অনুপস্থিতিতে তার পক্ষ থেকে নোবেল শান্তি পুরস্কার গ্রহণ করেন তার মেয়ে আনা করিনা সোসা। নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে দীর্ঘ সময় তিনি তার সন্তানদের থেকে দূরে ছিলেন। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাচাদো বলেন, 'গত ১৬ মাসেরও বেশি সময় আমি কাউকে জড়িয়ে ধরতে বা স্পর্শ করতে পারিনি। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আমি আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষদের দেখতে পাচ্ছি, তাদের স্পর্শ করতে পারছি।'
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তথ্যমতে, ভেনিজুয়েলা থেকে পালাতে মাচাদো ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন। তিনি ১০টি সামরিক চেকপয়েন্ট ফাঁকি দিয়ে একটি কাঠের নৌকায় করে উপকূলীয় এলাকা ত্যাগ করেন। ভেনিজুয়েলার বর্তমান মাদুরো সরকার তাকে 'পলাতক' ও 'সন্ত্রাসী' হিসেবে আখ্যায়িত করে হুমকি দিয়েছিল যে, নরওয়েতে পুরস্কার নিতে গেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে মাচাদো দৃঢ় কণ্ঠে জানান, তিনি অবশ্যই ভেনিজুয়েলায় ফিরে যাবেন। তিনি বলেন, 'আমি জানি আমি ঠিক কী ঝুঁকি নিচ্ছি। তবে আমাদের লক্ষ্যের জন্য যেখানে আমাকে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, আমি সেখানেই থাকব।'
সূত্র: বিবিসি
ইএ/এসএন