নয়াদিল্লির জনপথে ড. অম্বেদকর ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের শান্ত হলটি হঠাৎই ভারী হয়ে উঠেছিল স্মৃতির আবেগে। কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্রকে স্মরণ করতে সেখানে জড়ো হয়েছিলেন বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। কিন্তু ভিড়ের মধ্যে সবচেয়ে গভীর নিস্তব্ধতা তৈরি হয় যখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথা বলতে শুরু করেন হেমা মালিনী। স্বামী হারানোর শোক, স্মৃতির ভার আর দীর্ঘ জীবনের ভালোবাসা সব মিলিয়ে তাঁর কণ্ঠ কেঁপে উঠেছিল বারবার।
দুই মেয়ে ঈশা আর অহনাকে পাশে রেখে হেমা বললেন, যাঁর সঙ্গে পর্দায় প্রেম দেখিয়েছেন, তিনিই পরবর্তী সময়ে তাঁর জীবনের সত্যিকারের সঙ্গী হয়ে ওঠেন। সেই সম্পর্কের কথা মনে করতেই তাঁর চোখে জল চলে আসে। তিনি জানালেন, তাঁদের ভালোবাসা ছিল নিখাদ যে ভালোবাসা শক্তি দিয়েছিল জীবনের নানা প্রতিকূলতায়। বিয়ের পর ধর্মেন্দ্র শুধু স্বামী নয়, হয়ে উঠেছিলেন তাঁর সবচেয়ে বড় সহায়। সিদ্ধান্তের মুহূর্তে হোক বা কঠিন সময়ে, তিনি সবসময় পাশে থেকেছেন নিঃশব্দ ভরসা হয়ে।
হেমার ভাষায় উঠে আসে আরেক ধর্মেন্দ্র স্ক্রিনের বাইরের একজন স্নেহশীল বাবা। ঈশা ও অহনার প্রতি তাঁর নিবেদিত ভালোবাসা, নাতি-নাতনিদের জন্য সীমাহীন মায়া আর পরিবারের প্রতি অগাধ টান সবই ছুঁয়ে গেল উপস্থিত সবাইকে। তিনি প্রায়ই স্ত্রীকে বলতেন, এই পরিবারটিকে আগলে রাখতে, কারণ সেটাই তাঁর সত্যিকারের শক্তি।
স্মরণসভাটি ছিল তারকাখচিত। উপস্থিত ছিলেন দেশের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ নানা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। বলিউড থেকেও অনেকে এসে কিংবদন্তিকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। তবে সানি এবং ববি দেওল সভায় ছিলেন না যেমন হেমাও যাননি তাঁদের আয়োজন করা অনুষ্ঠানে। এই দূরত্ব যতটা আলোচনার জন্ম দিয়েছে, তার থেকেও বেশি আলোড়ন তুলেছে হেমার আবেগঘন বক্তব্য। সামাজিক মাধ্যমে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর কথামালা, যা আরও একবার মনে করিয়ে দেয় ধর্মেন্দ্র শুধু বড় অভিনেতাই নন, বড় মানুষও ছিলেন।
আরপি/এসএন