ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
দলটি বলছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিনই একজন অন্যতম জুলাই যোদ্ধা এবং এমপি প্রার্থীর ওপর প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ঘটনা নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এটি ভীতি সৃষ্টির সুস্পষ্ট অপচেষ্টা বলেই প্রতীয়মান হয়।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দলটির সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিবৃতিতে বলেন, ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি।
তিনি বলেন, আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি- হামলাকারীদের অবিলম্বে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে হবে, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ জরুরিভাবে পর্যালোচনা করতে হবে এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব প্রার্থী, দলীয় কর্মী ও সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তায় কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। হামলাটি পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তির নির্বাচন বানচালের কোনো সুপরিকল্পিত চক্রান্ত কি না, সরকারকে তা গভীরভাবে খতিয়ে দেখার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ওসমান হাদি গত ১৩ নভেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক স্ট্যাটাসে জানান– ৩০টি বিদেশি নাম্বার থেকে কল ও টেক্সট করে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং তার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। দেশবাসীর কাছে এটা পরিষ্কার যে প্রশাসন তার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে, যা নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে গুরুতর অবহেলার শামিল। আমরা প্রশাসনের এই দায় এড়ানোর নিন্দা জানাই।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, এ ধরনের বর্বর হামলা দেশের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বিপর্যস্ত করে। আমরা আশা করি, সরকার ও প্রশাসন ঘটনাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান করবে। পাশাপাশি আমি শরিফ ওসমান হাদীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং তার পরিবার ও সহকর্মীদের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি।
এমআর/টিকে