তাঁর সুরের জাদুতে মুগ্ধ আসমুদ্র হিমাচল। শুধু আম জনতাই নয় তারকারাও তাঁর অন্ধ ভক্ত। কথা হচ্ছে, বলিউডের হিট মেশিন অরিজিৎ সিং-এর। আজকে দেশের সবচেয়ে সফল গায়কদের তালিকায় একদম উপরের সারিতে রয়েছেন অরিজিৎ। গায়কের সাদামাটা জীবনযাপন চমকে দেয়। সর্বদা লাইম লাইটের আড়ালেই থাকতে চান অরিজিৎ।
খুব বেশি ক্যামেরার সামনে দেখা যায়নি তাঁকে। তবে কেরিয়ারের একদম গোড়ার দিকে ‘বোঝে না সে বোঝে না’ ছবির টাইটেল ট্র্যাকে কন্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি মিউজিক ভিডিয়োতেও দেখা মিলেছিল অরিজিতের। মিমি-আবির-পায়েলদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন অরিজিৎ। জানেন কি এই গানের শ্যুটিংয়ের ফাঁকে ঘটেছিল অবাক করা কাণ্ড, অরিজিতকে চিনতে পারেননি মিমি!
এক সাক্ষাৎকারে মিমি জানিয়েছিলেন সেই গল্প। কলকাতা থেকে বোলপুর এক গাড়িতে গিয়েও অরিজিতকে চিনতে পারেননি প্রাক্তন সাংসদ! অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি আর অরিজিত এক গাড়িতে যাচ্ছিলাম বোলপুর বোঝে না সে বোঝে না-র টাইটেল ট্র্যাকের শ্যুটিংয়ে। অরিজিত সামনে বসেছিল, আমি পিছনে বসেছিলাম। আমি শুরুতেই ভেবেছিলাম অরিজিতের সঙ্গে একটা সেলফি তুলব। কিন্তু আমি জানতাম না গাড়ির সামনে যে বসে রয়েছে সে অরিজিৎ। কারণ ও যখন গাড়িতে ওঠে আমি ঘুমোচ্ছিলাম।’
এরপর মিমির সংযোজন, ‘এরপর আমরা বোলপুর নেমে গানের শ্যুটিং করছি। আমি যখন অরিজিতকে সামনে দেখি, আমি তো চমকে গেছি। আরে এটা অরিজিৎ! আমি তো এর সঙ্গেই গাড়িতে এসেছি, আমি তো ভাবছি আমি কী করলাম এটা! পরে যখন এই কথাটা আমি অরিজিৎ-কে বলেছিলাম, আমরা খুব হেসেছি’।
রাজ চক্রবর্তীর পরিচালনায় তৈরি ‘বোঝে না সে বোঝে না’ মুক্তি পেয়েছিল ২০১২ সালে। তখনও ‘মেরি আশিকি তুম হি হো’ মুক্তি পায়নি, সুতরাং গোটা দেশের হার্টথ্রব হয়ে ওঠেননি জিয়াগঞ্জের এই ভূমিপুত্র। তবে বাঙালির মনে ‘ফিল লে আয়া দিল’-এর মতো গান গেয়ে ইতিমধ্যেই জায়গা তৈরি করা শুরু করে দিয়েছিলেন অরিজিৎ। মিমিরও কেরিয়ারের একদম শুরুর দিকের ছবি এটি। ‘বাপি বাড়ি যা’ (২০১১) ছবির সঙ্গে রুপোলি সফর শুরু করা অভিনেত্রীর কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়েছিল এই ছবি।
বর্তমানে টলিউডের মোস্ট ওয়ান্টেড নায়িকা মিমি। চলতি বছর পুজোয় রক্তবীজ ২-তে মিমির বিকিনি লুক থেকেছে চর্চায়। এখন কাজ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে একটু বেশি সাবধানী মিমি।
কেএন/টিকে