ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেছেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি রাজাকারের আস্ফালন দেখার জন্য নয়।’
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকালে যশোর টাউন হল ময়দানের রওশন আলী মঞ্চে যশোর ছাত্র ইউনিয়নের ১৩তম সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। মেঘমল্লার বসু বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে মুক্তিযুদ্ধের অপূর্ণ যে লড়াই সেই লড়াইকে পূর্ণতা দেওয়ার কথা বলেই জুলাই আন্দোলনে নেমেছিল জনগণ। কিন্তু একদল বিপথগামী বাংলাদেশবিরোধী শক্তি জুলাই অভ্যুত্থানের পর ২৪-কে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জেলায় জেলায় মহল্লায় তাদের যে অপতৎপরতা সেটি চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সব জায়গায় বোঝানোর চেষ্টা করছে, জুলাই হলো ৭১-এর উল্টো। ৩০ লাখ মানুষের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, কেউ যদি ফ্রান্স আমেরিকায় বসে বলে বাংলাদেশের শহীদ সংখ্যা দুই হাজার, তাহলে তার মোকাবিলা হবে রাজপথে।’
মানুষের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য জনগণ জুলাইয়ে রক্ত দিয়েছিল জানিয়ে মেঘমল্লার বসু বলেন, ‘আমরা যখন মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধ করেছিলাম তখন তারা বলেছিল আমরা ভারতের দালাল। হিন্দুদের দালাল। সেই গোষ্ঠী ২০২৫ দাঁড়িয়ে এই ধর্মবিক্রির রাজনীতি করছে। আমরা স্পৃষ্ট বলতে চাই, বাংলাদেশ বহু ধর্মের, মতের দেশ; যে যার মতো ধর্ম পালন করবে। তা কেউ নির্ধারণ করে দিতে পারবে না। ধর্ম চর্চার অধিকার নাগরিক অধিকার, মানুষের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য জুলাইয়ে রক্ত দিয়েছি আমরা।’
জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়নের সহসভাপতি নাজিফা জান্নাত, সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা, সিপিবির যশোর জেলা সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবু হাসান, উদীচী যশোর সংসদের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান খান বিপ্লব প্রমুখ।
এসএস/টিএ