দেশের বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে একদিনেই এসেছে ৩০০ টন পেঁয়াজ। ভারতীয় পেঁয়াজ দেশে প্রবেশের সাথে সাথে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম করেছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে বন্দরে পেঁয়াজের কেনাবেচা শুরু হয়। মূলত নাসিক ও ইন্দ্রজাতের পেঁয়াজই বেশি আমদানি হয়েছে।প্রতি কেজি ইন্দ্র নাসিক পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৬৫ টাকা যা গত দুইদিন আগেও বিক্রি হয় ৯০ টাকায়।
হিলির পেঁয়াজ আমদানিকারক নাফিস ইকবাল সাদ বলেন, হিলি স্থলবন্দরসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরগুলো দিয়ে প্রতিদিনই পেঁয়াজের আমদানি হচ্ছে। তাছাড়া দেশীয় মুড়িকাটা ও পাতা পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দামে।
এভাবে আমদানি স্বাভাবিক থাকলে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজের পাইকার সেলিম বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে যেসব পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে, সেগুলোর গুণগত মান অনেক ভালো। দুইদিন আগেও বন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনেছি ৯০ টাকায়। সেই পেঁয়াজ আজকে কিনলাম ৬৫ টাকা কেজি। দাম কমার কারণে আজ দুই ট্রাক পেঁয়াজ কিনেছি। এইসব পেঁয়াজ ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাচ্ছে।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা এম আর জামান বাঁধন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত ৭ই ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজের আমদানি শুরু হয়। আজ রোববার পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে ভারতীয় ৩৩ ট্রাকে ৯৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। পেঁয়াজ যেহেতু কাঁচা পণ্য, তাই দ্রুত শুল্কায়ন ও কাস্টমসের যাবতীয় কার্যক্রম শেষে পণ্য ছাড় করতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে সরকার পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনলাইনের মাধ্যমে ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) ইস্যু করে। প্রথম দিকে সারা বাংলাদেশে ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ মেট্রিক টন করে আইপি দেয়। পরে আমদানিকারকের সংখ্যা ৫০ জন থেকে বাড়িয়ে ২০০ জন করা হয়। এতে পেঁয়াজের আমদানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুটি চালানে ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় পেঁয়াজবাহী ট্রাকগুলো ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন জানান, পেঁয়াজের আমদানিকারক সাতক্ষীরা এইসকেএ এন্টারপ্রাইজ ও সাবাহা এন্টারপ্রাইজ। রফতানিকারক ভারতের জাইবা ও এমডি এন্টার প্রাইজ নামের প্রতিষ্ঠান। প্রতি মেট্রিক টন ৩০৫ ইউএস ডলার মুল্যে আমদানি করা হয়েছে। চালানটি দ্রুত খালাসে মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রাতেই কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পেঁয়াজের চালান দুটি বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস হওয়ার কথা রয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী শ্যামল কুমার নাথ জানান, ‘প্রথম চালানে ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। মান পরীক্ষার পর বন্দর থেকে দ্রুত খালাসের অনুমতি দেয়া হবে।
ইএ/টিএ