লাতিন আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর দায়িত্বে থাকা অ্যাডমিরাল অ্যালভিন হলসি তার অবসরের নির্ধারিত সময়ের দুই বছর আগেই পদত্যাগ করেছেন। ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা এবং হলসির পদত্যাগের খুঁটিনাটি সম্পর্কে অবগত দুইজন ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, অ্যাডমিরাল অ্যালভিন হলসিকে পদত্যাগে বাধ্য করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান ও পরিকল্পনা নিয়ে দুইজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। তাই হলসিকে বরখাস্তের কথা ভাবছিলেন হেগসেথ।
বিষয়টি আঁচ করতে পেরে গত ১৬ অক্টোবর হলসি ঘোষণা দেন, তিনি ডিসেম্বরে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন। অবসরের সময়ের আগেই সরে যাওয়ার কোনো ব্যাখ্যা দেননি হলসি। তবে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে তার অবসর অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি ছিলেন প্রফুল্ল।
৩৭ বছরের দীর্ঘ সামরিক জীবনের দিকে ফিরে তাকিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত নিজেদের মূল্যবোধে বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক দেশগুলোর পাশে অবিচলভাবে দাঁড়িয়ে থাকা। তারা ভাষায়, ‘আমাদের অবশ্যই সব সময় একই মানসিকতার অংশীদারদের পাশে থাকতে হবে। যেসব দেশ আমাদের মূল্যবোধ, যেমন গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকারে বিশ্বাস করে, তাদের পাশে থাকতে হবে।’
তবে নিজের দ্বিতীয় মেয়াদে এসব মূল্যবোধে বিশ্বাসী দেশগুলোকে দূরে ঠেলে কর্তৃত্ববাদী শাসকদের কাছে টেনে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।
হলসির পদত্যাগ নিয়ে কিছু মার্কিন কর্মকর্তার অভিমত, ক্যারিবীয় অঞ্চলে সন্দেহভাজন মাদক পাচারকারী নৌযানের ওপর সাম্প্রতিক মার্কিন হামলার বিরোধিতা করেছিলেন এই অ্যাডমিরাল।
তবে গত মঙ্গলবার সিনিয়র আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে হলসি জোর দিয়ে বলেন, তার পদত্যাগের সিদ্ধান্তের সঙ্গে কোনও সামরিক অভিযানের সম্পর্ক নেই। রিপাবলিকান প্রতিনিধি মাইক রজার্সের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে পলিটিকো এ তথ্য জানায়।
কেএন/টিকে