বিয়েবাড়ির আলোকসজ্জা, গান আর উচ্ছ্বাসের ভিড়েও যে সব তারকা স্বচ্ছন্দ নন, সেই কথাই খোলাখুলি জানালেন সাইফ আলি খান। অভিনয়ের পাশাপাশি বিয়েবাড়িতে নাচের প্রস্তাব যে বলিউডে নতুন নয়, তা সকলেরই জানা। তবু এই ধরনের অনুষ্ঠানে নিজেকে বরাবরই অস্বস্তিতে পড়তে হয় বলে স্বীকার করলেন অভিনেতা।
এক সাক্ষাৎকারে পুরোনো এক অভিজ্ঞতার কথা টেনে আনেন সাইফ। জানান, একবার একটি বিয়েবাড়িতে নাচছিলেন তিনি। ঠিক সেই সময় তাঁর এক কাকিমার সঙ্গে হঠাৎই দেখা হয়ে যায়। রাজকীয় রুচি ও আভিজাত্যের জন্য পরিচিত সেই কাকিমা নাকি তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন, যেন কাউকে না বলেন তিনি সেখানে নাচছেন। আত্মীয়ের মুখে এমন কথা শুনে মুহূর্তের মধ্যেই অস্বস্তিতে পড়ে যান সইফ। যদিও পরে নিজেই বলেন, বিনোদনজগতের মানুষ হিসেবে বিয়েবাড়িতে নাচার মধ্যে আদৌ খারাপ কিছু নেই।
তবে তাঁর মতে, বিয়েবাড়িতে অতিথি হয়ে যাওয়ার সঙ্গে মনোরঞ্জনের জন্য যাওয়ার মধ্যে বড় পার্থক্য আছে। সেই কারণেই স্থানীয় বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচতে গেলে তিনি সংকোচ বোধ করেন। অন্যদিকে বিদেশের বিয়েতে নাচার অভিজ্ঞতা তাঁর কাছে ছিল একেবারেই আলাদা। পর্তুগালে এক বিয়ের আসরে নেচে আনন্দ পেয়েছিলেন বলেও জানান তিনি।
এই প্রসঙ্গেই সাইফ উঠে আসা আরেক বাস্তবতার কথাও বলেন। তাঁর মতে, আজকাল অভিনেতারা খুব সহজলভ্য হয়ে পড়েছেন। মানুষ আর আগের মতো বিস্মিত হন না তারকাদের দেখে। তবে এই জায়গায় অজয় দেবগনের উদাহরণ টেনে সাইফবলেন, কিছুটা গোপনীয়তা বজায় রাখার কারণেই অজয়কে পর্দায় দেখার আগ্রহ এখনো প্রবল।
এর মধ্যেই উদয়পুরে শিল্পপতি রাজু মন্টেনার কন্যা নেত্রা মন্টেনার বিয়ের আসর ঘিরে আলোচনার ঝড় ওঠে। বলিউডের বহু তারকা সেখানে নেচে-গেয়ে মাতিয়ে তোলেন অনুষ্ঠান। সেই ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই আবার নতুন করে আলোচনায় আসে তারকাদের বিয়েবাড়ির নাচের সংস্কৃতি। আর ঠিক সেই সময়েই সাইফআলি খানের এই স্বীকারোক্তি যেন বিষয়টিকে দিল ভিন্ন এক দৃষ্টিভঙ্গি।
আরপি/এসএন