স্কুলজীবনের অর্থ যে কেবল বই আর পরীক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, সেই কথাই স্পষ্ট করে বললেন অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত। ছোট্ট একটি বক্তব্যে শিক্ষা ব্যবস্থা ও মানুষ গড়ে ওঠার প্রক্রিয়া নিয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন তিনি।
নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে যীশু মনে করেন, স্কুল এমন একটি জায়গা যেখানে শুধু পড়াশোনা নয়, শেখা হয় সামাজিক আচরণ, সহমর্মিতা আর মানুষের সঙ্গে মিশে চলার পাঠ। তার মতে, ক্লাসরুমের পাঠ্যবই একজন মানুষকে পরীক্ষায় পাশ করাতে পারে, কিন্তু প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন সামাজিক মূল্যবোধের চর্চা।
যীশুর কথায় উঠে এসেছে, মানুষ হয়ে ওঠার জন্য কেবল নম্বর আর সনদই যথেষ্ট নয়। সহপাঠীদের সঙ্গে সম্পর্ক, শিক্ষককে সম্মান করা, দলবদ্ধভাবে কাজ করা এই সবকিছুই একজন শিশুর মানসিক গঠনে বড় ভূমিকা রাখে। স্কুল তাই তাঁর চোখে শুধুই শিক্ষার প্রতিষ্ঠান নয়, বরং সমাজে বাঁচার প্রথম পাঠশালা।
এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অভিনেতা যেন বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা নিয়েও একটি নীরব প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন। পড়াশোনার চাপে যখন অনেক সময় মানবিক দিকগুলো চাপা পড়ে যায়, তখন যীশুর এই উপলব্ধি নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে অভিভাবক ও শিক্ষকদেরও।
অভিনয়ের বাইরেও সমাজ ও জীবন নিয়ে ভাবতে ভালোবাসেন যীশু সেনগুপ্ত। তাঁর এই মন্তব্য আবারও প্রমাণ করল, পর্দার বাইরে দাঁড়িয়েও তিনি সচেতন একজন মানুষ, যিনি শিক্ষা আর মানবিকতার সম্পর্ককে আলাদা করে দেখতে চান।
আরপি/এসএন