মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান বীর সেনানী ও সাবেক মন্ত্রী এ কে খন্দকার (বীর-উত্তম) বার্ধক্যজনিত কারণে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মারা গেছেন। এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) এক শোক বার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে তার শোকাহত পরিবার-পরিজনদের মতো আমিও গভীরভাবে সমব্যথী।’
শোক বার্তায় বলা হয়, ‘মুক্তিবাহিনীর উপপ্রধান (ডেপুটি চিফ অব স্টাফ) মরহুম এ কে খন্দকার বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রথম প্রধান ছিলেন।
সাবেক এই এয়ার ভাইস মার্শাল গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ও সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদান রাখার জন্য ‘বীর-উত্তম’ খেতাব এবং ২০১১ সালে স্বাধীনতা পদক লাভ করেন। দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে তার অসামান্য অবদানের জন্য তিনি জাতির নিকট চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। দেশের প্রতি মমত্ববোধ ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য তার নিবেদিতপ্রাণ ভূমিকা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
পৃথিবী থেকে তার চিরবিদায়ে আমি ব্যথিত ও মর্মাহত হয়েছি। দোয়া করি-মহান রাব্বুল আলামীন যেন তাকে বেহেস্ত নসিব এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গকে ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা দান করেন।’
বিএনপি মহাসচিব শোকবার্তায় এ কে খন্দকার বীর-উত্তমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকার্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এমআর/টিএ