বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ঢাকায় কোটি জনতার এক ঐতিহাসিক মহামিলন ঘটবে। ঘটবে কোটি জনতার প্রাণের উচ্ছ্বাস। জীবন সত্তা আনন্দে ও উদ্দীপনায় হবে ভরপুর।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের মনিকুড়ায় এক যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রিন্স।
ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের মনিকুড়া গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গ্রামের দৌলদ ভূঁইয়া, ইসমাইল ভূঁইয়া, শিক্ষক মঞ্জুরুল হক বিএসসি, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আব্দুর রউফসহ দুই শতাধিক সাধারণ নারী-পুরুষ, যুবক ও শিক্ষার্থী ময়মনসিংহ-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদান করেন।
এ উপলক্ষে আজ রাতে পশ্চিম মনিকুড়া ভূঁইয়া বাড়িতে আয়োজিত যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন কেবল একজন ব্যক্তির দেশে ফেরা নয় ফ্যাসিস্ট শাসনে নির্বাসনে বাধ্য হওয়া একজন মজলুম নেতার ঘরে ফেরা, যার পেছনে লুকিয়ে আছে একটি জাতির দীর্ঘশ্বাস, কষ্ট, ত্যাগ ও মরণপণ সংগ্রামের ইতিহাস।
তিনি বলেন, বছরের পর বছর মিথ্যা মামলা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে তারেক রহমান প্রবাসে নির্বাসনে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন। কিন্তু জনগণের ভালোবাসা ও গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিতে সেই জুলুমের দেয়াল আজ ভেঙে পড়েছে।
তিনি বলেন, এই প্রত্যাবর্তন প্রমাণ করে জুলুম কখনো চিরস্থায়ী হয় না, আর মজলুমের জয় অনিবার্য।
তিনি আরো বলেন, ‘তারেক রহমানের আগমন ইতিহাসের এক বরপুত্রের শুভ ও বহু প্রতীক্ষিত আগমনের বার্তা দিচ্ছে। এই আগমন নতুন আনন্দ, নতুন সাহস, নতুন শক্তি ও পরিবর্তনের স্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশ যখন আবার গণতন্ত্র ও ভোটের পথে এগিয়ে চলেছে, ঠিক সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তেই তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন জাতির জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘তারেক রহমান শুধু বিএনপির নেতা নন, তিনি গণতন্ত্রকামী মানুষের আশা, আস্থা ও স্বপ্নের প্রতীক।’
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘তারেক রহমানের নেতৃত্বেই ইনশাআল্লাহ একটি গণতান্ত্রিক, মানবিক ও সাম্যের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে যেখানে আর কোনো মজলুম থাকবে না, যেখানে রাষ্ট্রক্ষমতার প্রকৃত মালিক হবে জনগণ।’
প্রান্তিক কৃষকের জন্য কৃষক কার্ডের মাধ্যমে একটি ফসল উৎপাদনে প্রণোদনা, শস্য-মৎস্য-পোল্ট্রি-গবাদি প্রাণী বীমা, ইউনিয়নে ধান ক্রয় কেন্দ্র, পরিবারের মায়েদের নামে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য প্রণোদনা, শিক্ষিত বেকারদের এক বছরের জন্য বেকার ভাতা, সরকার গঠনের ১৮ মাসের মধ্যে এক কোটি নতুন কর্মসংস্থান, সবার জন্য বিনা মূল্যে চিকিৎসা, গরিব রোগীদের জন্য বিনা মূল্যে ৫০ ধরনের ওষুধ, ওয়ান টিচার-ওয়ান ট্যাব, লারনিং উইথ হ্যাপিনেস, সবার জন্য কারিগরি শিক্ষা, বাধ্যতামূলক তৃতীয় ভাষা শিক্ষা, শিক্ষা কারিকুলামে ক্রীড়া ও সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্তি, সুশিক্ষায় মেধাবী শিক্ষক, সুস্বাস্থ্য ও খাদ্যে অগ্রাধিকার কর্মসূচির ব্যাখ্যা দিয়ে যোগদান অনুষ্ঠানে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, তারেক রহমান গ্রাম ও শহরের তৃণমূলের জনগোষ্ঠীর কল্যাণ ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করছেন। যাতে প্রান্তিক কৃষক, নারী, যুবক, শিক্ষার্থীসহ প্রান্তিক মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে। তিনি বিশ্বাস করেন, তৃণমূলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মুখে হাসি ফুটলে সমগ্র বাংলাদেশ হাসবে, আলিকিত হবে জনগণ, জনগণ খুঁজে পাবে মালিকানার ন্যায্য হিস্যা।
মনিকুড়া গ্রামের বাসিন্দা, হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আমজাদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যোগদান অনুষ্ঠানে হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম মিয়া বাবুল, সদস্যসচিব আবু হাসনাত বদরুল কবীর, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান স্বাধীন, যোগদানকারীদের পক্ষে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গ্রামের দৌলদ ভূঁইয়া, ইসমাইল ভূঁইয়া, শিক্ষক মঞ্জুরুল হক বিএসসি, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আব্দুর রউফ বক্তব্য দেন।
এমকে/টিএ