ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতকে নীতিগতভাবে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি বিধায় ২০৫০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের যে টার্গেট, তা পূরণ করার সম্ভাবনা ক্রমাগত কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমানে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা ৯৫ শতাংশর মতো, বিপরীতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর নির্ভরতা ৪ শতাংশের বেশি। অর্থাৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত সব সময় অবহেলিত হয়েছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবি আয়োজিত ‘বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। যৌথভাবে গবেষণা প্রতিবেদনটি পাঠ করেন এনার্জি গভর্ন্যান্সের অ্যাসিস্ট্যান্ট কো-অর্ডিনেটর আশনা ইসলাম এবং কো-অর্ডিনেটর নেওয়াজুল মওলা।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জ্বালানি খাতের নীতি কৌশল ও পরিকল্পনায় অনেক অসংগতি ও অস্পষ্টতা রয়েছে। বিদ্যুৎ খাতের মহাপরিকল্পনা মূলত জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর ভিত্তি করে গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে যাচ্ছি এমনটা দেখানোর জন্য ক্লিন এনার্জির ওপরে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, যা পরীক্ষিত নয়।
এ গবেষণার আওতায় যেসব প্রকল্প পর্যালোচনা করা হয়েছে তাতে সুশাসনের যেসব নির্দেশক রয়েছে, তার সব কয়টিতে আমরা ঘাটতি পেয়েছি। আপনারা জানেন যে বিদ্যুৎ খাত সবচেয়ে বেশি আলোচিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত খাতের মধ্যে একটি। নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতেও একইভাবে দুর্নীতি করা হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি ক্রয়ের মাধ্যমে সেসব দুর্নীতি করা হয়েছে। মূলত নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে নীতিগতভাবে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। ফলে ২০৫০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের যে টার্গেট, তা পূরণ করার সম্ভাবনা ক্রমাগত কমে যাচ্ছে।
আইকে/টিএ