খুলনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠন শ্রমিক শক্তির নেতা মো. মোতালেব শিকদারকে গুলির ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানা থেকে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। এ ছাড়া এ মামলায় গ্রেপ্তার যুব শক্তির নেত্রী তনিমা তন্বীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। তন্বী নিজেকে দেড় মাসের অন্তঃসত্তা বলে দাবি করেছেন।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট- ১ এর বিচারক মো. আসাদুর জামানের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এর আগে পুলিশ তাকে আহত মোতালেবের স্ত্রী রহিমা আক্তার ফাহিমার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে।
মামলাটির তদন্তে জড়িত একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, শ্রমিক শক্তির নেতা মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর কথা বললেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় এখন পুলিশকে এড়িয়ে যাচ্ছেন। েতিনি খুব অসুস্থ, কথা বলতে পারছেন না- এমন অবস্থা দেখাচ্ছেন।
তবে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন ওই বাসায় ও আশপাশে মোতালেব শিকদার, তানিয়া তন্বী এবং তার স্বামী তানভীর শেখসহ ১০ জন উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে একটি শীর্ষ সন্ত্রাসী সংগঠনের কয়েকজন সদস্যও উপস্থিত ছিল। মাদক ও চাঁদাবাজির ভাগ-বাটোয়ারার বিষয়গুলো নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
মোতালেব শিকদার, তানিয়া তন্বী এবং তার স্বামী তানভীর শেখ নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। মোতালেব শিকদারের ব্যাপারেও আলাদাভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সোনাডাঙা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাদিম মাহমুদ জানান, মোতালেব শিকদারকে গুলিবিদ্ধ ঘটনায় তনিমা তন্বীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার আর কেউ আটক বা গ্রেপ্তার নেই।
খুলনা মেট্টোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোহামম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মোতালেব শিকদার হত্যাচেষ্টা মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশে দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে অনেক তথ্য উঠে এসেছে। পুলিশ সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই করছে।
তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তানিয়া তন্বী নিজেকে দেড় মাসের অন্তঃসত্তা বলে দাবি করেছেন। তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। তবে এখনো রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর সকালে নগরীর ১০৯ মজিদ সরণির আল আসকা মসজিদ গলির ‘মুক্তাহাউজ’ নামে একটি বাসার নিচতলায় গুলিবিদ্ধ হন মোতালেব শিকদার। পুলিশ সেখান থেকে গুলির খোসা, বিদেশি মদের বোতল, ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের আলামত জব্দ করে। পরদিন দুপুরে আহত মোতালেবের স্ত্রী রহিমা আক্তার ফাহিমা জেলা জাতীয় যুবশক্তির যুগ্ম সদস্য সচিব আটক তনিমা ওরফে তন্বীর নামাল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জনের নামে সোনাডাঙা মডেল থানায় এ মামলা করেন।
কেএন/টিএ