বাঁধাকপির রোগ ও পোকামাকড় প্রতিকার

রবি মৌসুমের একটি প্রধান সবজি বাঁধাকপি। দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই বাঁধাকপির চাষ হয়। এ দেশে উৎপাদিত বাঁধাকপির প্রায় সব জাতই বিদেশী ও হাইব্রিড। বাঁধাকপির কিছু রোগ ও পোকামাকড় রয়েছে, যা বাঁধাকপির চাষের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর। সেজন্য বাঁধাকপি চাষ করতে হলে এর রোগ ও পোকামাকড় প্রতিকার সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে।

বাঁধাকপির বিভিন্ন রোগের প্রতিকার
পাতায় দাগ পড়া রোগ
এ রোগের প্রতিকারের জন্য সুষম সার, সেচের ব্যবস্থা ও সঠিক দূরত্ব বজায় রেখে চারা রোপণ করতে হবে। রোগের প্রাথমিক অবস্থায় স্কোর ২৫০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ৫ এমএল হারে ২ সপ্তাহ পর পর স্প্রে করতে হবে।

কালো পচা রোগ
বীজ বপনের পূর্বে ৫০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার গরম পানিতে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে বীজ শোধন করে নেয়া। ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করতে হবে নিয়মিত এবং অনুমোদিত ছত্রাকনাশক ব্যবহার করতে হবে।

চারা ধ্বসা রোগ
এ রোগ প্রতিরোধ করতে হলে ১০০-১২৫ কেজি/একর হারে সরিষা খৈল প্রয়োগ করেও সুফল পাওয়া যায়। ঢলে পড়া চারা দেখা মাত্রই তুলে তা ধ্বংস করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে জৈব সার ও পরিমিত ইউরিয়া ব্যবহার করা। জমি সব সময় আর্দ্র বা ভিজা না রাখা এবং পানি নিকাশের ব্যবস্থা রাখা।

বাঁধাকপির বিভিন্ন পোকার প্রতিকার
বাঁধাকপির মাথা খেকো লেদা পোকা
সম্ভব হলে হাত দ্বারা কীরা ও ডিম সংগ্রহ করে ধ্বংস করতে হবে। ভলিয়াম ফ্লেক্সি ৩০০ এসসি- প্রতি লিটার পানিতে ৫ এমএল হারে মিশিয়ে গাছ ভালোভাবে ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।

বাঁধাকপি সরুই পোকা
ফসল সংগ্রহের পর ফসলের অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে ফেলা এবং পরে জমি ভালো করে চাষ করা। কীরা ও ডিম সম্ভব হলে হাত দিয়ে পিষে মারা। প্রোক্লেম ৫ এসজি-১ গ্রাম/লিটার পানি, প্রয়োজনীয় পানির সঙ্গে আনুপাতিক হারে প্রোক্লেম মিশিয়ে ভালোভাবে গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে এবং প্রয়োজনে ৫-৭ দিন অন্তর পুনরায় স্প্রে করতে হবে।

কাটুই পোকা
ক্যারাটে-মাত্রা: একর প্রতি ৩০০ এমএল, প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১০ এমএল ক্যারাটে মিশিয়ে সারির উপর দিয়ে গাছের গোঁড়া বরাবর ভালোভাবে মাটি ভিজিয়ে দিতে হবে। স্প্রে শেষে গাছের গোঁড়ায় মাটি তুলে দিতে হবে।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ