চলমান উত্তেজনার মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থল সীমান্তগুলোতে বিক্ষোভ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী পেট্রাপোল, ঘোজাডাঙ্গা, গেদে, মাহাদিপুর, ফুলবাড়ী, হিলি সহ প্রত্যেকটি স্থলবন্দরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে তারা।
এদিন দুপুরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ মহকুমার অধীন জয়ন্তীবাজার থেকে সনাতনী ঐক্য মঞ্চের পক্ষ থেকে একটি শুরু হয় মিছিল। যার নেতৃত্ব দেন দুই বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার এবং অশোক কীর্তনীয়া। যদিও জিরো পয়েন্টের ২০০ মিটার আগে ব্যারিকেড করে সেই মিছিল আটকে দেয় স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ওই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকেই ভারতের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে বাংলাদেশের নেতাদের বক্তব্য প্রসঙ্গে বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রে বিজেপি বিধায়ক অশোক কির্তনীয়া বলেন, ‘ওরা দিবা স্বপ্ন দেখছে, একটা রাফাল ওদিকে ঘুরিয়ে দিলেই আর ঘর থেকে বেরোবে না। ওদের যোগ্যতম জবাব দেওয়া হবে।’
সকালের দিকে ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দর সংলগ্ন ওল্ড সাতক্ষীরা রোড অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি নেতাকর্মীরা। এসময় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুতুল পোড়ানো হয়। পাশাপাশি ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে আমদানি-রপ্তানি সাথে সংশ্লিষ্ট পণ্যবাহী গাড়ি আটকেও বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
এছাড়া মালদা জেলা আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও হাওড়া ব্রিজের কাছেও বিক্ষোভ করেছে বিজেপি। দলটির সমর্থকরা হাওড়ার গুলমোহর ময়দান থেকে মিছিল করে হাওড়া ব্রিজের দিকে রওনা দেয়। যদিও হাওড়া ব্রিজ থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে ব্যারিকেড করে বিক্ষোভকারীদের প্রতিহত করে হাওড়া সিটি পুলিশ। এসময় ব্যারিকেড ভেঙে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা ফলে একসঙ্গে ধস্তাধস্তি পরিস্থিত তৈরি হয় এতে আহত হন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই আহত হন। পরে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
গত কয়েকদিন ধরে দিল্লি, কলকাতা ও শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের মিশনগুলোর সামনে বিক্ষোভ করে বিজেপি, কংগ্রেস সহ কয়েকটি কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। দুইবার ভারতের হাইকমিশনারকে ডেকে এসব উসকানিমূলক কর্মসূচি বন্ধ করতে বলেছে বাংলাদেশ। এবার বিক্ষোভ-স্লোগানে দুই দেশের মধ্যকার স্থল সীমান্তগুলো উত্তপ্ত হচ্ছে।