ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে এক ব্যক্তি ভাঙচুর চালিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভাষ্য অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি মানসিকভাবে অসুস্থ। পরে তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে হঠাৎ করে তিনি ক্যান্টিনের ভেতরে প্রবেশ করে চেয়ার-টেবিলসহ ছাত্রদলের ব্যানার ভাঙচুর করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেখানে থাকা ৪টি টেবিল ভেঙে পড়ে আছে। পাশাপাশি ক্যান্টিন এলাকায় টাঙানো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের একটি ব্যানারও ভেঙে ফেলা হয়েছে। ভাঙচুরের চিহ্ন এখনো ঘটনাস্থলে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভাঙচুরের সময় ক্যান্টিনে থাকা শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে বাইরে চলে যান। কিছুক্ষণ পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে তাকে টিমের গাড়িতে করে নিয়ে যায়। মধুর ক্যান্টিনের মালিক অরুণ কুমার দে দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার সময় আমি এখানে ছিলাম না। পরে এসে কর্মচারীদের কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি। লোকটি কোথা থেকে এসেছে, তা বলতে পারি না। ভাঙচুরের পর প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা তাকে আটক করে নিয়ে গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাটা আমি শুনেছি। তাকে আমাদের প্রক্টরিয়াল টিম আটক করে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করেছে। লোকটা মাটিতে গড়াগড়ি করছিল। তাকে দেখে মানসিক বিকৃত মনে হয়েছে।
মধুর ক্যান্টিনেই জড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক জন্ম ইতিহাস। ’৪৮-এর ভাষা আন্দোলন, ’৪৯-এর বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলন, ’৫২-র আগুনঝরা দিন, ’৫৪-র যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী যুদ্ধ, ১৯৫৮-৬০ সালের প্রতিক্রিয়াশীল বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ’৬৬-র ছয় দফা আন্দোলন, ’৬৯-র গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচন এ সবকিছুর সঙ্গে গভীরভাবে মধুর ক্যান্টিনের নাম জড়িয়ে আছে।
ইউটি/টিএ